শুক্রবার সকাল থেকে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ভাইরাল হতেই বিতর্ক ঝড়ের আকার নিল। চিঁড়ে খাওয়ার সঙ্গে বাংলাদেশি যোগ খুঁজে পাওয়া প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বিরুদ্ধে তেতে উঠল নেট দুনিয়া। ভোজন রসিকদের তীব্র আক্রমণের মুখে পড়তে হল বিজেপি নেতাকে।
গতকাল একটি সেমিনারে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন মধ্যপ্রদেশের এই বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, “আমাদের বাড়িতে একটা নতুন ঘর তৈরি হচ্ছে। সেখানে কিছু মিস্ত্রি কাজ করতে আসেন। ওঁরা একটা অদ্ভুত জিনিস খাচ্ছিলেন, চিঁড়ে। যা দিয়ে তৈরি হয় পোহা। আমার খুবই সন্দেহ হচ্ছিল, মনে হচ্ছিল এরা বাংলাদেশ থেকে এসেছে। দুদিন আমার সন্দেহ হয়েছে এরপর আমি কাজ করানোই বন্ধ করে দিয়েছি।”
এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। কেউ চিঁড়ে দিয়ে বানানো পদের ছবি টুইট করে লিখলেন, “আমি পাঞ্জাবি। আমি নিয়মিত পোহা খাই।” আসামের এক তরুণ লিখলেন, “আসামের সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে চিঁড়ে। উত্তর-পূর্বের অনেক রাজ্যেই সকালের জলখাবার মানেই চিঁড়ে দিয়ে তৈরি পদ।”
অনেকে আবার কটাক্ষ করে বলেছেন, “কৈলাস বিজয়বর্গীয় যখন আবার কলকাতায় আসবেন, দিলীপ ঘোষদের উচিত তাঁকে একটু ডালহৌসি পাড়াটা ঘুরিয়ে দেওয়া। তাহলেই বুঝতে পারবেন কত দোকানে দই-চিঁড়ে মাখা বিক্রি হচ্ছে। আর কত লোক তা লাইন দিয়ে হইহই করে খাচ্ছেন।”
মহারাষ্ট্রের এক তরুণী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “আমি মহারাষ্ট্রের মেয়ে। কিন্তু নিয়মিত কাজের জন্য মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে যেতে হয়। মহারাষ্ট্রে আমরা নানান ভাবে পোহা রান্না করি। যে ভাবে এখানে পোহা খাওয়া হয় আমি দেখেছি ইন্দোরেও একই ভাবে রান্না করা হয়।” শুধুমাত্র বাংলাদেশি হলেই যে চিঁড়ে খাবেন এর কি মানে!
বিজেপি নেতার এই মন্তব্যের পর নরেন্দ্র মোদীর প্রসঙ্গ টেনে অনেকে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী এর আগে পোশাক দেখে বুঝে ফেলেছিলেন কারা হিংসা ছড়াচ্ছে। এবার তাঁরই পথ ধরে খাবার দেখে দেশ চিনে ফেললেন কৈলাস।