এদিন প্রথম টি-২০ তে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নামে ভারত। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই ওপেনার মার্টিন গাপ্টিল ও কলিন মুনরো মারমার কাটকাট ভঙ্গিতে চালাচ্ছিলেন। দু’জনের দাপটে ২৭ বলে পঞ্চাশে পৌঁছে গিয়েছিল রান। পাওয়ার প্লে-র ছয় ওভারে বিনা উইকেটে উঠেছিল ৬৮। প্রথম স্পেলে শার্দুল ঠাকুরের দুই ওভারে উঠেছিল ৩০ রান, শামির দুই ওভারে উঠেছিল ২২ রান। নিউজিল্যান্ড ইনিংসে প্রথম আঘাত হেনেছিলেন অলরাউন্ডার শিবম দুবে। তাঁর প্রথম ওভারে ফিরেছিলেন গাপ্টিল (১৯ বলে ৩০)। ছয় মারতে গিয়েছিলেন তিনি। ডিপ মিড উইকেটে রিলে ক্যাচ নিয়ে তাঁকে ফেরালেন রোহিত শর্মা। প্রথম উইকেটে ৮০ রান যোগ করেছিল নিউজিল্যান্ড। শেষ অবধি তাঁরা ২০ ওভারে করেন ২০৪ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ৬ রানের মাথায় রোহিত শর্মার উইকেট হারায় ভারত। তারপরে পার্টনারশিপ করেন লোকেশ রাহুল ও বিরাট কোহলি। বিধ্বংসী মেজাজে খেলছিলেন তাঁরা। কোনও বোলারকেই রেয়াত করছিলেন না দুই ব্যাটসম্যান। নিজের হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রাহুল। দেখে মনে হচ্ছিল খুব সহজেই ম্যাচ শেষ করে দেবেন তাঁরা। ঠিক তখনই ছন্দপতন হয়।
প্রথমে ৫৬ রানের মাথায় রাহুল ও তারপর ৪৫ রানের মাথায় বিরাট কোহলিও আউট হন। শিবম দুবেও বেশি রান পাননি। কিন্তু তাতেও খেই হারিয়ে ফেলেনি ভারতীয় ব্যাটিং। মাথা ঠান্ডা রেখে খেললেন শ্রেয়স আইয়ার ও মনীশ পাণ্ডে। ধীরে ধীরে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করলেন আইয়ার। হাফসেঞ্চুরি করলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১ ওভার বাকি থাকতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেন শ্রেয়স আইয়ার। তিনি ৫৮ ও মনীশ পাণ্ডে ১৪ করে নটআউট থাকেন। এদিনের জয়ের ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলেন বিরাটরা।