বিএসএনএল–এর মতো একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা আজ বহুদিন হল আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই বিষয়ে কোনো হেলদোল নেই। এই সংস্থাকে নতুন করে চাঙ্গা করে তোলার কোনও সদিচ্ছাও নেই মোদী সরকারের। ফলে হাজার সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে কর্মীরা। সূত্রের খবর, বিএসএনএল–এর দেড় লক্ষ কর্মীর মধ্যে অর্ধেকের বেশি কর্মীকে অবসর নিতে বলা হচ্ছে। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ৭৮,৫৬৯ জন কর্মীকে অবসর নিতে বলা হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে।
বিগত কয়েকমাস ধরেই কর্মীদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়াও অন্যান্য যে সুযোগ–সুবিধাগুলি স্থায়ী কর্মীদের পাওয়া উচিত, সেগুলোও তাঁরা পাচ্ছেন না, এমন অভিযোগ তুলেছেন কর্মীরা। মূলত ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সের কর্মীদের অবসর নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন, অন্যান্য যে সব নেটওয়ার্কিং কোম্পানিগুলি রয়েছে, তাদের ৫জি স্পেকট্রামে ছাড়পত্র দিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিকে এখনও ৪জি স্পেকট্রামের ছাড়পত্রই পাইনি বিএসএনএল, এমন কেন? এর কোনো সদউত্তর নেই মোদী সরকারের কাছে।
যাঁরা অস্থায়ী কর্মী, তাঁরাও তাঁদের বকেয়া টাকা পাচ্ছেন না। গত বছরের টাকাও আটকে রয়েছে এখনও, অভিযোগ এমনই। মোদী জমানায় এমনিই বেসরকারিকরণ ঘটছে। দেশে বেকারত্ব বাড়ছে। অর্থনৈতিক বেহাল দশা। এই আবহে বিএসএনএল কর্মীরা চাকরি খোয়ানোর আতঙ্কে ভুগছে।