গত বছরের শেষ থেকেই সিএএ ও এনআরসির বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। সবথেকে বেশি আন্দোলনে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে, জেএনইউ ও জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ইউনিভার্সিটির পড়ুয়াদের। এবার আন্দোলনরত সেই দুই ইউনিভার্সিটির পড়ুয়াদেরকেই হুমকি দিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন কেন্দ্রীয় পশুপালন প্রতিমন্ত্রী সঞ্জীব বালয়ান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, জেএনইউ ও জামিয়া মিলিয়ার বিক্ষোভকারীদের ‘ওষুধ’ তাঁর জানা আছে।
বুধবার, মেরঠে একটি জনসভায় হুমকি দেওয়ার সুরেই সঞ্জীব বলেন, ‘আমি রাজনাথ সিংজিকে অনুরোধ করব, যাঁরা জেএনইউ ও জামিয়া মিলিয়ায় জাতীয়তা বিরোধী স্লোগান তুলছেন তাঁদের ওষুধ আছে। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করা হোক।’ কেন পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কথা টেনে আনলেন সঞ্জীব? তথ্য বলছে, দেশের যে সব এলাকায় অপরাধের হার বেশি তার মধ্যে রয়েছে উত্তরপ্রদেশের ওই অংশও। আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও সে দিকেই ইঙ্গিত করেছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঞ্জীবের বিরুদ্ধে অবশ্য এমন বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ এই নতুন নয়। উত্তরপ্রদেশে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে ‘মাদ্রাসার ছাত্ররা’ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। মুজফফরনগর হিংসাতেও জড়িয়ে যায় ওই মন্ত্রীর নাম। তবে, ২০১৪ থেকেই অবশ্য মুজফফরনগর কেন্দ্র থেকে টানা জিতে আসছেন সঞ্জীব।
কিছু দিন আগেই, জামিয়া মিলিয়ার পড়ুয়াদের সিএএ বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ওই আন্দোলন দমনে পুলিশ বলপ্রয়োগ করে বলেও অভিযোগ ওঠে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই জেএনইউ-র পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের উপর হামলা চালায় মুখোশধারীরা। দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা ঘিরে ক্ষোভ ছড়িয়েছে গোটা দেশজুড়েই। এমনকি এর রেশ পড়েছিল বিদেশেও।