রাজনীতির ময়দান মানেই যেন বিরোধীদের বাক্যবাণে বিদ্ধ করা। আর এই কাজে কার্যত সবার আগে এগিয়ে বিজেপি। সারাবছর ধরে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে নানারকম অশালীন মন্তব্য ধেয়ে আসে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে।এবার সামনে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। লোকসভা নির্বাচনে অ-বিজেপি মহিলা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা কর্মীরাই প্রতিদিন গড়ে ১০০টি করে অশ্লীল টুইট পেয়েছেন।
মানবাধিকার সংগঠন অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই বিষয়ে হাজার হাজার টুইটের ওপর সমীক্ষা চালিয়েছিল। প্রতি ক্ষত্রেই উঠে এসেছে এমনই তথ্য। আশ্চর্যের বিষয় বেশির ভাগ হুমকি বা অশ্লীল বার্তা এসেছে হিন্দি ভাষাতেই।
গবেষণায় পাওয়া তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, বিজেপির থেকে বিজেপি নন এমন মহিলা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা এই ধরনের হুমকি বা অশ্লীল টুইট বেশি পেয়েছেন। কতটা বেশি পরিসংখ্যানের হার প্রায় ৫৬.৭ শতাংশ!
মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, এই সমীক্ষা হয়েছে নভেম্বরে। তা পর্যবেক্ষণ করে দেখা গিয়েছে কনটেন্ট রিপোর্ট হওয়ার পরেও সেই তথ্য খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে টুইটার অনেক বেশি সময় নেয়। টুইটারের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে তাদের পক্ষ থেকে দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। অ্যাকাউন্ট বন্ধ বা সাস্পেন্ড করার হার ১০৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
২০১৮ সাল থেকে ‘রাজনৈতিক মহিলা ব্যক্তিত্বদের সোশ্যাল আক্রমণ’ নিয়ে গবেষণা করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিশেষজ্ঞ। সেই দল প্রতিটি টুইট বিশ্লেষণ করে দেখছে। সেই সমীক্ষা থেকেই পাওয়া গিয়েছে এই তথ্য। যা রীতিমত লজ্জাজনক।