আগামী শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ শুরু করছে ভারত। গ্লেন টার্নার-রিচার্ড হ্যাডলিদের দেশে পাঁচটি টি-২০, তিনটি একদিনের ম্যাচ এবং দু’টি টেস্ট খেলবে বিরাট কোহলি-ব্রিগেড। ঘরের মাঠে আয়োজিত একদিনের সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে রোহিত শর্মা-যশপ্রীত বুমরাহদের। নিউজিল্যান্ডে টিম ইন্ডিয়া ভালো পারফর্ম করবে বলে এদিন আশা প্রকাশ করেছেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকর।
মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থাকে এক সাক্ষাৎকারে শচীন বলেছেন, ‘‘ইদানীং দেখা যাচ্ছে নিউজ়িল্যান্ডের মাটিতে টেস্টে প্রচুর রান উঠছে। ওখানকার পিচের চরিত্র বদলে গিয়েছে। নিউজিল্যান্ডের পিচের চরিত্র অনেকটাই বদলেছে। ১৯৯০ সালে আমি প্রথমবার ওদেশে খেলতে গিয়েছিলাম। তখন পিচ ছিল সিমারদের স্বর্গ। কিন্তু ক্রিকেটজীবনের শেষদিকে দেখেছি, ব্যাটসম্যানরা বেশ সুখেই ব্যাট করছে। টেস্টে দুই দলই গড়ছে বড় রানের ইনিংস। অতীতে অবশ্য কিউয়ি বোলাররা আমাদের যথেষ্ট বেগ দিয়েছে। কিন্তু টিম ইন্ডিয়ার পেস আক্রমণ এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা। তাই ভারতীয় দলের দুশ্চিন্তার কিছু নেই”।
মাস্টার ব্লাস্টারের পরামর্শ, ‘‘জোরালো হাওয়ার বিরুদ্ধে বল করতে গেলে কিন্তু পেসারদের খুব মাথা খাটাতে হবে। তাই আমার মতে, স্পিনারদের হাওয়ার বিরুদ্ধে বল করতে আনা হোক আর পেসাররা উল্টো দিক থেকে আসুক। যাতে জোরালো হাওয়া কোনও সমস্যা করতে না পারে।’’ ওয়েলিংটনে একটি টি-টোয়েন্টি এবং একটি টেস্ট খেলতে হবে ভারতকে।
সাদা বলের ক্রিকেটে দুরন্ত ধারাবাহিকতা রোহিত শর্মার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে বলে ধারণা শচীন তেন্ডুলকরের। প্রসঙ্গ উত্থাপিত হলে মাস্টার ব্লাস্টারের বিশ্লেষণ, ‘নিউজিল্যান্ডে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে রোহিতের সীমিত ক্রিকেটের ওভারে ওই ওপেন করবে। ওখানকার পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হিটম্যানের অসুবিধা হবে না। তবে টেস্ট ক্রিকেট অবশ্যই আলাদা। দেখতে হবে, নিউজিল্যান্ড আমাদের জন্য কী ধরনের পিচ তৈরি করে। যদি উইকেট গ্রিন টপ হয় তাহলে ভারতের কাছে তা অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং।’