মোদীর রাতারাতি নোটবন্দীর সিদ্ধান্তে সমস্যায় পড়েছিলেন সাধারণ মানুষ। তবে মোদী প্রচার করেছিলেন, এই নোটবন্দী রাতারাতি কালো টাকার সমস্যা মুছে ফেলার এক পন্থা। কিন্তু সেই প্রচার যে কি পরিমাণ ভ্রান্ত তা টের পাওয়া যাচ্ছে এখন। নোটবন্দীর ঠিক পরপর বিপুল আর্থিক কেলেঙ্কারি করেছেন অলঙ্কার–ব্যবসায়ীরা। যত নগদ টাকা জমা দিয়েছেন, তা তাঁদের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এমন অনেক ব্যবসায়ীর খোঁজ পেয়েছে আয়কর দফতর।
নোট বন্দী ঘোষণা হয়েছিল ২০১৬–র ৮ নভেম্বর। সেই বছরই ৯ থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে কিছু অলঙ্কার–ব্যবসায়ী যা টাকা ব্যাঙ্কে জমা করেছেন, তা আগের বছরের তুলনায় এক হাজার গুণ বেশি! আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন অর্থ ছাড়া, আয়কর দফতরের নজরে এসেছে এমনও কিছু ঘটনা, যেখানে নোটবন্দীর বছর প্রচুর ঋণ অনাদায়ী থেকে গেছে।
এক আয়কর কর্তার কথায়,‘গুজরাতের এক ব্যবসায়ী নোট বাতিলের পর ৪ কোটি টাকা জমা করেন। গত বছর জমা করেন মাত্র ৪০ হাজার টাকা।’ গরমিলের বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা জানান, টাকা জমা করা ব্যবসার অঙ্গ। ২০১৬–র অক্টোবরে অচেনা ক্রেতাদের থেকে অগ্রিম বাবদ ওই টাকা পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু বিক্রির রশিদ দেখাতে পারেননি।
অন্যদিকে, আয়কর রিটার্নে অধিকাংশ ব্যবসায়ী কয়েক লক্ষ টাকা আয়ের কথা জানিয়েছেন। জমা টাকার সঙ্গে কিন্তু সেই অঙ্ক মেলেনি। সেখানেই ধরা পড়ে গেছেন তাঁরা। সুতরাং নোট বন্দী যে কালো টাকার সমস্যার সমাধান ছিল না তা এবার সামনে আসছে।