২০ নম্বর গ্র্যান্ড স্ল্যামে অভিযান শুরুর প্রথম রাউন্ডেই বলিভিয়ার হুগো ড্যালিয়েনকে উড়িয়ে দিলেন রাফায়েল নাদাল। মঙ্গলবার অস্ট্রেলীয় ওপেনে ৬-২, ৬-৩, ৬-০ জয়ের পরে অবশ্য তিনি পরিষ্কার করে দেন, রজার ফেডেরারের ২০ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের বিশ্বরেকর্ড স্পর্শ করা বা পেরিয়ে যাওয়াটাই ‘সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’ নয়। নিজের খেলোয়াড় জীবন নিয়েই তিনি খুব খুশি রয়েছেন। তবে মেয়েদের প্রাক্তন এক নম্বর মারিয়া শারাপোভা প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে গেলেন।
নাদাল যদি এ বার অস্ট্রেলীয় ওপেন জেতেন, তা হলে শুধু ফেডেরারের সর্বাধিক গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ড স্পর্শই নয়, ওপেন যুগে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যামই অন্ততপক্ষে দু’বার জেতার রেকর্ড গড়বেন। সেটা অবশ্য নাদালের পক্ষে খুব সহজ নয়। কারণ এর আগে এক বারই তিনি ট্রফি জেতেন ২০০৯ সালে। নাদাল বলছেন, ‘২০টা, ১৫টা না ১৬টা গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলাম তা নিয়ে মাথা ঘামাই না। এ ভাবেই খেলে যেতে চাই আর টেনিস জীবন উপভোগ করে যেতে চাই। এমন নয় যে, ২০ নম্বর সংখ্যাটাই পৌঁছনোই আমার লক্ষ্য। যদি পারি সেটা দুরন্ত ব্যাপার হবে। যদি ২১-এ পৌঁছই আরও ভাল। যদি ১৯ই থাকে তা হলেও যা অর্জন করেছি তা নিয়ে খুব খুশি থাকব আমি।’
রুশ তারকা শারাপোভা আবার ১৯তম বাছাই ক্রোয়েশিয়ার ডোনা ভেকিচের বিরুদ্ধে ৩-৬, ৪-৬ হারার পরে তাঁর টেনিসজীবনের ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল। ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে নামা শারাপোভা এই হারের পরে এতটাই বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন যে, আগামী বছর অস্ট্রেলীয় ওপেনে ফের তাঁকে দেখা যাবে কি না তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। কাঁধের চোটে গত বছর হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিযোগিতাতেই নামতে পেরেছিলেন শারাপোভা। এই হারের পরে তাঁর বিশ্ব র্যাঙ্কিংও ৩৬৬ নম্বরে নেমে যেতে পারে। মেলবোর্ন পার্কেই ২০০৮ সালে শারাপোভা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন।