অবশেষে আশঙ্কাই যেন সত্যি হলো! একেই আই লিগে শেষ তিন ম্যাচে পর পর হার। অন্যদিকে, ডার্বিতেও লজ্জাজনকভাবে হারতে হয়েছে দলকে। আর এই ধাক্কাতেই সরে গেলেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ আলেহান্দ্রো মেনেন্ডেজ গার্সিয়া। কোয়েস ইস্টবেঙ্গলের হেড কোচের পদ থেকে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সরে দাঁড়ালেন তিনি। তবে যতদিন না নতুন কোচ নিয়োগ হচ্ছে, ততদিন এই কোচিং স্টাফই দলের দায়িত্বে থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
চার্চিল এবং গোকুলামের কাছে হারার পর চাপ তৈরি হয়েছিল। বড় ম্যাচ হারের পর ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের। গত মরসুমে আইলিগে দায়িত্ব নিয়েছিলেন দলের। তারপর ইস্টবেঙ্গলকে রানার্স করেছিলেন। কিন্তু এবার পুরো অন্য ছবি। এবারের দল নিজের হাতে তৈরি করেছিলেন আলেহান্দ্রো। অনেকেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন তা নিয়ে। সরে যাওয়া একপ্রকার অনিবার্য হয়ে পড়েছিল সমর্থকদের একসময়ের প্রিয় আলে স্যারের। আর সেটাই হল।
বড় ম্যাচের পর কোচের মন্তব্য নিয়ে ক্ষুব্ধ হন সমর্থকরাও। হারের পরও নূন্যতম অনুশোচনা শোনা যায়নি কোচের গলায়। বরং গত ১৪ বছরের উদাহরণ টেনে বোঝানোর চেষ্টা করেন, তাঁর আমলেই ইস্টবেঙ্গল এত ভাল খেলছে। এরপর আজ দুপুরে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে কোয়েসের দফতরে বৈঠকে বসেন ক্লাব কর্তারা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কোয়েস কর্তা সুব্রত নাগ। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রথম মরশুমে দল নিয়ে সাফল্য এনে না দিতে পারলেও স্প্যানিশ কোচ পাশ মার্কস পেয়েছিলেন। কিন্তু এবার যেন এখনও দল গুছিয়ে উঠতে পারেননি স্প্যানিশ কোচ। শতবর্ষের বছরে কলকাতা লিগ, ডুরান্ড কাপের পর আই লিগেও ব্যর্থতাই সঙ্গী ইস্টবেঙ্গলের। বিদেশিদের পারফরম্যান্স তথৈবচ অথচ ট্রান্সফার উইন্ডোতে নতুন ফুটবলার নিতে গড়়িমসি করেন কোচ থেকে বিনিয়োগকারী সংস্থা। ফলে কোচকে নিয়ে ক্রমশ অসন্তোষ বাড়ছিল সমর্থকদের মধ্যেও। আই লিগে পর পর হারের মাঝে ডার্বিতে হার যেন আগুনে ঘি দিয়ে দেয়। আর তারপরেই পদত্যাগ স্প্যানিশ কোচের। তবে মাঝ মরশুমে দলের দায়িত্বে নতুন কে আসবে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।