প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়াই হোক বা অশালীন-বেফাঁস মন্তব্যের ফোয়ারা ছোটানো – সবেতেই গেরুয়া শিবিরের দিলীপ ঘোষের জুড়ি মেলা ভার। বিরোধী দলের নেতানেত্রীই হোক বা বিরোধী মত পোষণকারী কোনও বিশিষ্টজন, তাঁদের বিঁধতে গিয়ে বরাবরই বেপরোয়া মনোভাব দেখিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর বক্তব্য নিয়ে বারবারই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। দিন কয়েক আগেই যেমন নদীয়ায় একটি জনসভায় তিনি আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানোর কথা বলে রাজ্য রাজনীতিতে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন দিলীপ। শনিবার সেই বিতর্ক আরও উস্কে দিয়ে নন্দীগ্রামের সভা থেকে ফের বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর নিদান দেন তিনি। তবে গুলির পরে এবার সরাসরি গোলার হুমকি বিজেপির রাজ্য সভাপতির। সেই সঙ্গেই তাঁর ঘোষণা, ‘আমরা ভদ্রলোকের রাজনীতি করতে আসিনি।’
তাই এত কিছুর পরেও দিলীপ ঘোষ আছেন দিলীপ ঘোষেই! যতই বিতর্ক-সমালোচনা হোক না কেন তিনি যে নিজের অবস্থানেই অনড়, তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। ‘আমি কুকথাই সবসময় বলি’, এ ভাষাতেই বিতর্কের জবাব দিলেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। উল্লেখ্য, সিএএ বিরোধী বিক্ষোভকারীদের গুলি করে মারার নিদান দিয়ে তুমুল বিতর্ক বাধিয়েছেন দিলীপ। ক’দিন আগে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভকারীদের ‘ননসেন্স’ ও ‘নেমোকহারাম’ বলে সমালোচনার মুখেও পড়েছিলেন দিলীপ। এদিকে, দিলীপের দলের নেতারাও কুকথা বলে খবরের শিরোনামে। এই আবহে বিজেপি রাজ্য সভাপতির এমন অকপট মন্তব্য নয়া মাত্রা এনে দিল বলেই মনে করা হচ্ছে।
কুকথা প্রসঙ্গে এদিন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘কারও যদি আমার কুকথা লাগে, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমি সবসময় কুকথাই বলি।’ এর আগেও নিজের অবস্থানে অনড় মনোভাব দেখিয়েছেন দিলীপ। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের কাছে এক সভায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘যারা দেশের সম্পত্তি নষ্ট করেছে, তাদের উপর গুলি চালানো উচিত বলেছিলাম। উচিত নয়? যারা দেশের শত্রু, দেশের সম্পত্তি নষ্ট করেছে তাদের গুলি করে মারা উচিত।’