২০ জানুয়ারি, সোমবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে ঝাড়গ্রামে শুরু হল ষষ্ঠ বর্ষের রাজ্য পর্যায়ের জঙ্গলমহল উৎসব। সোমবার বিকেলে উৎসবের উদ্বোধন করে অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই সিএএ নিয়ে সরব হলেন পার্থ। উৎসবের বাতাবরণেই ঝাড়গ্রামবাসীর চিন্তা দূর করতে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ‘আমরা যেমন কারও জমি জোর করে কেড়ে নিতে দেব না। তেমন কারও নাগরিকত্ব জোর করে ছিনিয়ে নিতেও দেব না।’
প্রসঙ্গত, এবার জঙ্গলমহল উৎসবের জায়গা পাল্টেছে। ৬ দিনের এই উৎসব হচ্ছে ঝাড়গ্রাম শহরের ননীবালা বয়েজ স্কুল মাঠে। উৎসব চলবে শনিবার পর্যন্ত। গতকাল উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পার্থ ছাড়াও ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের চেয়ারম্যান তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার সুকুমার হাঁসদা, দফতরের প্রধান সচিব সুব্রত বিশ্বাস প্রমুখ।
সকলের উপস্থিতিতে পার্থ জঙ্গলমহল উৎসব প্রসঙ্গে বলেন, ‘আপনারা ভাবছেন উন্নয়নটা শুধু রাস্তাঘাট করলেই হবে? উন্নয়ন শুধু চাকরি দিলে, পেটে ভাত দিলেই হবে? নাহ, তার সঙ্গে সঙ্গে মগজেও কিছু দিতে হবে। এই লোকশিল্পীদের যে সৃষ্টি, চেতনা তাকে রক্ষা করতে হবে। তাঁদের নৃত্যশৈলী, তাঁদের গান যেটা বাংলার সামগ্রিক ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করছে, তাকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। সেই উদ্দেশ্য নিয়ে এই উৎসব।’
এখানেই না থেমে, তিনি এ কথাও জানান যে, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমার ঝাড়গ্রামকে দেখতে হবে। আমার পুরুলিয়াকে দেখতে হবে। আমার বীরভূমকে দেখতে হবে।’ তাঁর কথায়, ‘সংস্কৃতির যোগ আরও বাড়ুক। আমাদের যার যা আছে সকলকে একত্রিত করতে হবে। সরকারের অভিমুখও তাই।’ উল্লেখ্য, এ বছর উৎসবে ১৩৩টি সাংস্কৃতিক দলের কয়েক হাজার লোকশিল্পী অংশ নেবেন। ইতিমধ্যে উৎসব প্রাঙ্গণে ৪২টি সরকারি ও ২০টি খাবারের স্টল দেওয়া হয়েছে।