রবিবার বেঙ্গালুরুতে শিখর ধওয়ানের কাঁধে চোট লাগার পরে নতুন করে টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ান ডে ক্রিকেটের জন্য ওপেনার খুঁজতে হচ্ছে। চিন্নাস্বামীতে কোহলির ভারত ম্যাচ ও সিরিজ জেতার পরে ধওয়নকে দেখা যায় ‘স্লিং’ লাগিয়ে মাঠে নেমে করমর্দন করছেন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে। তিনি যে নিউজ়িল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তো বটেই, ওয়ান ডে-তেও ঘোর অনিশ্চিত। তাই তাঁর জায়গায় সাদা বলের ক্রিকেটের জন্য জাতীয় দলের দরজা খুলে যেতে পারে পৃথ্বী শয়ের সামনে। তাঁর সঙ্গে নাম উঠছে সঞ্জু স্যামসনেরও।
পৃথ্বী শ গত কয়েক মাসে বন্দনা-নিন্দা দুই পৃথক পৃথিবীই দেখে ফেলেছেন। এক দিকে যেমন ভারতের হয়ে সফল টেস্ট অভিষেক ঘটিয়েছেন, তেমনই প্রথমে চোট-আঘাতের জন্য ছিটকে গিয়েছেন, তার পরে ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে নির্বাসিত হয়েছেন। তিনি এখনও সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতীয় দলের হয়ে খেলেননি ঠিকই। কিন্তু এই মুহূর্তে ভারতীয় ‘এ’ দল নিউজিল্যান্ড সফর করছে এবং সেখানে পৃথ্বীর আগ্রাসী ব্যাটিং তাঁকে প্রবল ভাবে দৌড়ে এনে দিয়েছে। রবিবারই নিউজ়িল্যান্ড একাদশের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ম্যাচে ১০০ বলে ১৫০ করেন পৃথ্বী। কয়েক দিন আগেই মুম্বইয়ের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার সময় কাঁধে চোট পেয়েছিলেন ডানহাতি ওপেনার। তখন তাঁর নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়া নিয়েই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সব সংশয় কাটিয়ে এমন এক ইনিংস তিনি খেলেছেন, যা সকলকেই আবার তাঁর সম্পর্কে আশাবাদী করে তুলেছে।
ব্যাট হাতে পৃথ্বীর দাপটের কথা পৌঁছে যায় বেঙ্গালুরুতে থাকা ভারতীয় দলের মধ্যেও। তার পর থেকেই তাঁকে সাদা বলের ক্রিকেটে নিয়ে আসার ভাবনা আরও গতি পেতে শুরু করেছে। নিউজিল্যান্ডে কোহলিদের সিরিজ শুরু হবে টি-টোয়েন্টি দিয়ে। কুড়ি ওভারেও শিখরের পরিবর্ত হওয়ার ব্যাপারে এখন ফেভারিট পৃথ্বী। আইপিএলে দিল্লী ক্যাপিটালসের হয়ে খেলেন তিনি। এখন পর্যন্ত খুব আহামরি কিছু করতে না পারলেও অনেকেই মনে করছেন, সব ধরনের ক্রিকেটে মানিয়ে নেওয়ার মতো প্রতিভা তাঁর রয়েছে।
মুম্বই এবং ভারতীয় ক্রিকেট মহলে অনেকে মনে করেন, তেন্ডুলকরের পরে সব চেয়ে প্রতিভাবান তরুণ ক্রিকেটার পৃথ্বী শ। মুম্বইয়ের স্কুল ক্রিকেট শচিনের মতোই রেকর্ড রান করে যাঁর উত্থান। প্রশ্ন হচ্ছে, তাঁর শৃঙ্খলা, নিষ্ঠা, অধ্যবসায় এবং নিয়ন্ত্রণ পৃথ্বী দেখাতে পারবেন কি না। তার উপরেই নির্ভর করবে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যাত্রার মেয়াদ। কারও কারও মতে, সাম্প্রতিক ঝড়-ঝাপ্টা থেকে শিক্ষা নিয়েছে পৃথ্বী। জীবনের রাস্তায় বেহিসেবি ড্রাইভিং করা থেকে বিরত থাকার ব্রত নিয়েছেন। প্রতিজ্ঞা করেছেন, এখন থেকে ক্রিকেটেই হবে তাঁর এক এবং একমাত্র ধ্যানজ্ঞান।