হাওড়ার বাগনানে সাত-সকালে দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে খুন হলেন তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি শেখ আসাদুল রহমান। এই ঘটনায় অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। পরিবার সূত্রে খবর, এ দিন সকালে তাঁর মোবাইলে একটি ফোন আসে। ফোন আসার পর বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ তাঁর মৃত্যুর খবর যায় বাড়িতে। পরিবাবের সদস্যেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত আবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে আছেন তিনি।
এই ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা শুরু হয়েছে। এলাকাবাসীরা দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য এলাকায় মজুত করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী। বাসিন্দাদের বুঝিয়ে সেখান থেকে দেহ নিয়ে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য বাগনান থানায় পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সাইকেলে যাওয়ার সময়েই আসাদুলকে দুষ্কৃতীরা ঘিরে ধরে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে গুলি করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। সম্ভবত তার কপালে গুলি করা হয়েছে। আজ সকালে কড়িয়ার বড়পোল এলাকার রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার হয় রক্তাক্ত দেহ।
পরিবারের সদস্যরা এই ঘটনায় বিজেপির দিকে আঙুল তুলছে। তারা বলছেন, সম্প্রতি এলাকায় বিজেপির খুব বাড়বাড়ন্ত। তৃণমূল নেতা,কর্মীদের মূল রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবিরের সদস্যরা। আমতা বিধানসভা কেন্দ্রের বাগনানের বাইনান অঞ্চলে তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি ছিলেন শেখ আসাদুল রহমান। সভাপতির পদ থেকে সরে যাওয়ার পর এলাকায় সক্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে আসাদুলের মোবাইলের কললিস্ট পরীক্ষা করে। তার ভিত্তিতেই দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে।