যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশ ক্রমশই যেন ধর্ষণের মুক্তক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। নির্ভয়ার ধর্ষকদের ফাঁসি আর সময়ের অপেক্ষামাত্র। হায়দ্রাবাদ গণধর্ষণ-খুনে অভিযুক্তদের এনকাউন্টারে খতম করে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এত দৃষ্টান্তের পরও নারীদের উপর যৌন অত্যাচার কিছুতেই যেন কমছে না। উত্তরপ্রদেশের বিজনৌর এবং বাহরাইচ – দুই জায়গায় দুই মহিলার দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁদের ধর্ষণ করা হয়েছে বলেই প্রাথমিক ধারণা পুলিশের।
উল্লেখ্য, নারী নির্যাতনের মতো অপরাধে যোগীর রাজ্য শীর্ষে। বদায়ুঁ, উন্নাও থেকে শুরু করে আজকের বাহরাইচ, বিজনৌর – শুধু যৌন হেনস্তা নয়, প্রমাণ লোপাট করতে নির্যাতিতাদের পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার মতো গুরুতর অপরাধেও হাত কাঁপে না ঘাতকদের। বদায়ুঁতে তিন নাবালিকাকে ধর্ষণের পর খুন করে বাড়ির সামনে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল, উন্নাওয়ে নির্যাতিতা বিচার চাইতে আদালতের দ্বারস্থ হলে, রাস্তাতেই তাঁকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এসব ঘটনায় সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল দেশজুড়ে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির এতটুকু বদল যে হয়নি, বিজনৌর-বাহরাইচে জোড়া দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধারই তার প্রমাণ।
খাটিয়ায় বাঁধা অবস্থায় উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরে উদ্ধার হল এক মহিলার অগ্নিদগ্ধ দেহ। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি খালি কার্তুজও উদ্ধার হয়েছে। হত্যার আগে তাঁকে গুলিও করা হয়েছিল বলে সন্দেহ পুলিশের। দ্বিতীয় ঘটনা বাহরাইচের। জঙ্গলের ধারে এক তরুণীর নগ্ন এবং দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছে। আনুমানিক বয়স ২০ বছর। তাঁর মুখ একেবারেই পুড়ে গিয়েছে। বাহরাইচের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবীন্দ্র সিং জানিয়েছেন, ”বাহরাইচের এক জঙ্গলের ধার থেকে মহিলার দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁর শরীরে কোনও পোশাক ছিল না। মহিলার আনুমানিক বয়স ২০ বছর হবে। মুখে আঘাত এবং পোড়া দাগ রয়েছে। তা সত্ত্বেও আমরা তাঁকে শনাক্তকরণের চেষ্টা করছি। প্রাথমিক তদন্তে বোঝা গিয়েছে যে এই মহিলা গ্রামের বাসিন্দা নন। বাইরে থেকে এসেছেন। অথবা বাইরে কোথাও তাঁকে খুন করে জঙ্গলের ধারে ফেলে রাখা হয়েছে।