মোদী জমানায় কমছে টাকার মূল্য। মুদ্রাস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৭.৩৫৷ এই অবস্থায় ১ থেকে ১০ বছর মেয়াদি ফিক্সড ডিপোজিটের ওপর ১৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার কমাল এসবিআই–সহ কয়েকটি ব্যাঙ্ক। ২ কোটি টাকার বেশি গচ্ছিত রাখলে অবশ্য সুদ কমছে না। অর্থনীতিবিদদের মতে, দেশের অর্থনীতির হাল খুবই খারাপ। লাগামহীন জিনিসের দাম। কমছে কর্মসংস্থানের সুযোগ। প্রবীণ নাগরিকেরা বলছেন, মোদী জমানায় বেঁচে থাকাই দায়। সাধারণের অভিযোগ, মধ্যবিত্তরা সমস্যায় পড়লেও মোদী সরকারের জমানায় ধনীদের কোনো সমস্যা হবে না।
এসবিআই সূত্রে খবর, ১ থেকে ১০ বছরের জন্য গচ্ছিত মূলধনে ৬.১০ শতাংশ হারে সুদ মিলবে। ১০ জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হয়েছে নতুন সুদের হার। নয়া সুদ–কাঠামোয় ৭ থেকে ৪৫ দিনে সুদের হার ৪.৫০ শতাংশ হয়েছে। ৪৬ দিন থেকে ১৭৯ দিনে সুদের হার ৫.৫০। ১৮০ দিন থেকে ২১০ দিনে সুদের হার ৫.৮০। ৫.৮০ শতাংশ হচ্ছে ২১১ দিন থেকে ১ বছরের কম সময়ে সুদের হার। ১ বছর থেকে ২ বছর, ২ থেকে ৩ বছর, ৩ থেকে ৫ বছর এবং ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত সুদের হার কমে হচ্ছে ৬.১০ শতাংশ।
নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দিল্লীতে সরকার গঠনের পর থেকেই কমছে ব্যাঙ্কের সুদের হার। ফিক্সড ডিপোজিটেই বেশি কোপ পড়েছে। তাই সমস্যায় পড়েছেন প্রবীণেরা। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী বিধুভূষণ ভৌমিকের মতে, “সরকার চায় না প্রবীণেরা বেঁচে থাকুক। তাই কমানো হচ্ছে অবসরের পর পাওনা। সামান্য কিছু অর্থের বিনিময়ে প্রাপ্য সুদের হারও কেড়ে নিচ্ছে। অথচ ওষুধ বা চিকিৎসার খরচ দিন–দিন মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে”।
সুদের হার কমা প্রসঙ্গে এসবিআই–এর অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক স্বপনকুমার সেনগুপ্ত বলেন, ‘আরবিআই রেপো রেট কমিয়েছে। ফলে ব্যাঙ্ক ঋণদানের ক্ষেত্রে সুদ কমাতে বাধ্য’।
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী দীপঙ্কর চক্রবর্তীর মতে, ‘সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলে এখন নজর অন্য দিকে ঘোরানোর জন্য যত্নশীল কেন্দ্রীয় সরকার! জাতপাত আর নাগরিকত্বের নামে নিজেদের অপকর্ম ও ব্যর্থতা ঢাকতে ব্যস্ত বিজেপি সরকার।’