গতকাল কেরালার বিরুদ্ধের ম্যাচ শেষ হওয়ার পরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে লাল-হলুদ গ্যালারি। কারণ, দলের ছন্নছাড়া পারফরম্যান্স এবং যার জেরে ৩-১ ব্যবধানে লজ্জার হার ইস্টবেঙ্গলের। স্বাভাবিকভাবেই এরফলে ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন সমর্থকরা। যার রেশ গিয়ে পড়ে গ্যালারিতে বসে থাকা ইস্টবেঙ্গলের সিইও সঞ্জিত সেন ও সিওও বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ওপর।
শতবর্ষে ক্লাবের এই হাল দেখে ভক্তরা প্রশ্ন তোলেন দল গঠন নিয়ে। তাঁরা বার বার জানতে চান, চূড়ান্ত ব্যর্থ মার্কোসের বদলে কেন নতুন বিদেশি স্ট্রাইকার আনা হবে না? এর পরেই সমর্থকদের হাতে শারীরিক ভাবে নিগৃহীত হন তাঁরা। ভিড়ের মধ্যে থেকে কেউ পপকর্নের প্যাকেট ছুঁড়ে মারেন, কেউ জুতো দিয়ে আঘাতও করেন। অভিযোগ, ইস্টবেঙ্গলের সিওও-ও পাল্টা হাত চালিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গ্যালারিতে ওঠে পুলিশ। শেষ অবধি লাল-হলুদের দুই শীর্ষ আধিকারিককে তাঁরাই উদ্ধার করেন। তাতেও ক্ষোভ কমেনি। স্টেডিয়ামের বাইরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এমনই ‘গো ব্যাক’ ধ্বনি দেন ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ আলেহান্দ্রোর উদ্দেশ্যেও।
এদিন সমর্থকদের হাতে নিগৃহীত হওয়ার পর হতাশ সিইও বলেন, ‘একটা ম্যাচে হারের জন্য সমর্থকেরা যা করছেন, তাতে খুবই খারাপ লাগছে। ওঁরা হয়তো ভেবেছেন, আমার তরফে খামতি রয়েছে। অথচ আই লিগে আমরাই সব চেয়ে বেশি খরচ করেছি।’ একইসঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘দিনের শেষে আমিও এক জন ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। তাই দলের পারফরম্যান্সে আমিও যথেষ্ট হতাশ।’
কয়েক দিন আগেই ইস্টবেঙ্গল কর্তারা কোচের সঙ্গে আলোচনায় বসে তাঁর হাতে ফুটবলারদের তালিকা তুলে দেন। কেন সেই তালিকাকে গুরুত্ব দেওয়া হল না? সিইও-র জবাব, ‘ফুটবলার আনতে গেলে দেখতে হয়, তাঁর নিজের কী সিদ্ধান্ত। এমনকি যে ক্লাবে তাঁরা খেলছেন, সেই ক্লাব কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ছাড়ার ব্যাপারে সেটাও দেখতে হবে।’ প্রশ্ন ওঠে, এরকম হতশ্রী পারফরম্যান্সের পরেও কি কোচের পদে আলেহান্দ্রো বহাল থাকবেন? সঞ্জিত সেনের বক্তব্য, ‘এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ক্লাবের মালিকেরা। আমি এই বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।’