মৃত্যুদণ্ডের ঘোষণা হয়েছিল আগেই। আর এরমধ্যেই নির্ভয়া কাণ্ডের দোষীদের কিছু তথ্য সামনে এসেছে। জেলবন্দি হওয়ার প্রথম থেকেই নিজেদের কর্মে যে তাঁরা একেবারেই অনুতপ্ত ছিল না তা হাবেভাবেই প্রকাশ পেয়েছিল তাঁদের হাবেভাবে। জেলের মধ্যেও তাঁদের আচরণ বলার মতো ছিল না। কারণ জানা গিয়েছে, তিহার জেলে অন্তত ২৩ বার নিয়ম ভেঙেছে দোষীরা। পাস করতে পারেনি জেলের পরীক্ষাও।
এরমধ্যেই তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, দিল্লী কাণ্ডের চার ধর্ষক গত ৭ বছরে মোট ১,৩৭,০০০ টাকা উপার্জন করেছে। যার মধ্যে, অক্ষয় ৬৯ হাজার, পবন ২৯ হাজার এবং বিনয় ৩৯ হাজার টাকা কামিয়েছে। বিনয় এই ৭ বছরে কোনও কাজই করতে চাইনি জেলের। পাশাপাশি এদের মধ্যে বিনয় ১১ বার, অক্ষয় ১ বার, মুকেশ ৩ বার ও পবন ৮ বার জেলের নিয়ম ভঙ্গ করেছে। আরও জানা গিয়েছে, মুকেশ, পবন, অক্ষয় তিনজনে ক্লাস ১০-এর পরীক্ষায় বসলেও তা পাস করতে পারেনি।
মৃত্যুদণ্ডের তারিখ ঘোষণা করার পরই দোষীদের আইনজীবী জানিয়েছিলেন কিউরেটিভ পিটিশন দাকিল করা হবে আদালতে। সেই মত সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেন বিনয় শর্মা ও মুকেশ সিং-র আইনজীবী। বিনয় শর্মা কিউরেটিভ পিটিশনে নিজের অল্প বয়স ও সংশোধনাগারে নিজের আচরণের উল্লেখ করে। পরিবারে অসুস্থ মা-বাবা আর অন্যান্যদের কথা বলে জানায় তাঁদের ওপর বিচার করা হোক।
অন্যদিকে রবিবারই বস্তা ব্যবহার করে তিহাড় জেলে মহড়া দেওয়া হয়ে গেছে এই চার অপরাধীর ফাঁসির। ফাঁসির জন্য যে দড়িগুলি ব্যবহার করা হবে সেগুলিও পরীক্ষা করা হয়েছে তিহাড় জেলে। প্রত্যেক অপরাধীর যা ওজন, বস্তায় সেই ওজনের পাথর প্রভৃতি পুরে সেই দড়িগুলি পরীক্ষা করে দেখেন জেল কর্তৃপক্ষ।