ডুয়ার্সের বনকর্মীদের কাজের প্রয়োজনে নানা দিকে ছুটতে হয়। অনেক সময় কিছু এলাকায় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে সেখানে দ্রুত পৌঁছোতে সমস্যা হয়। সেই সমস্যার কথা ভেবে ডাবলুডাবলুএফের সাহায্যে বন্যপ্রাণ বিভাগের ৬টি স্কোয়াডকে ১০টি আধুনিক মোটরবাইক দেওয়া হল বনমন্ত্রীর তরফে। এদিনের অনুষ্ঠানে বন দফতরের মূর্তি টেন্টে মালবাজার, খুনিয়া, রামসাই, বিন্নাগুড়ি, সুকনা–সহ ৬টি স্কোয়াডের হাতে বাইকগুলো তুলে দেন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বন দফতরের আধিকারিকরা জানান, ছোট আকারের কোনও জন্তুকে উদ্ধার করা, জঙ্গলে টহলদারি চালানো ইত্যাদির জন্য মোটরবাইকের মতো যান যথেষ্ট কার্যকরী। সে কথা মাথায় রেখেই বাইকগুলো দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার মেটেলি ব্লকের মূর্তিতে মোটরবাইক প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খোদ বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘ডুয়ার্সের চা–বাগান ও গ্রামাঞ্চলে মানুষের সঙ্গে বন্যপ্রাণীর সংঘাত ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। সেই সংঘাত আটকাতে বনকর্মীদের তৎপর হতে হবে। পাশাপাশি মানুষকেও সচেতন করতে হবে। সংরক্ষিত বনাঞ্চলে সাধারণ মানুষ যাতে প্রবেশ না করে, সে কথাও মানুষকে বোঝাতে হবে। প্রয়োজনে বিভিন্ন সংগঠনের সাহায্য নিয়ে একত্রে বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষা করতে হবে। মানুষকে বাঁচাতে হবে।’
এদিনের অনুষ্ঠানে হাতি ও বন্যপ্রাণীর চলাফেরার পথে বিভিন্ন চা–বাগান ও শ্রমিক বস্তিগুলোতে ব্লেডের বেড়া দেওয়ার প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে বনাধিকারিকদের নিয়ে এই বিষয়ে আলোচনা করতে হবে। যাঁরা এই ব্লেড দিয়ে বেড়া দিয়েছেন, তাঁদের চিঠি দিয়ে তা খুলে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। এতে কাজ না হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।’ সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারে এ ধরনের বেড়ায় আটকে ক্ষতবিক্ষত হয়ে একটি চিতাবাঘের মৃত্যু হয়েছিল। আগেও বিভিন্ন সময় এভাবে বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। তারপরেই এই বিষয়ে সরব হয়েছেন রাজীব।