সোমবার উপত্যকায় গুলির লড়াইয়ে বদগামে এক হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গিকে মেরেছিল সেনা। মৃত ওই জঙ্গির কাছ থেকে পিস্তল আর গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছিল।দক্ষিণ কাশ্মীরের ত্রাল থেকে হিজবুলের শীর্ষ কমান্ডার হম্মাদ খান সমেত তিন জঙ্গিকে খতম করেছিল সেনা। এবার আরও বড় ধাক্কা খেল হিজবুল মুজাহিদিন। হিজবুল মুজাহিদিনের জেলা কমান্ডার হারুন হফজকে গুলি করে খতম করল সেনা। উপত্যকায় হিজবুলের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া এই হারুনের দায়িত্বে ছিল। এছাড়াও ভারতে বড়সড় জঙ্গি নাশকতার ছক কষেছিল হারুন।
বাদগাম জেলার ছাদুরা এলাকার কুলাত্রায় জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর পেয়ে সুরক্ষা বাহিনী এলাকায় প্রবেশ করে। পুরো অঞ্চলটি ঘিরে ফেলে তল্লাশি অভিযান চালাতে থাকে। সেইসময়ই একটি বাড়িতে লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসীরা প্রথমে একে একে চারটি গ্রেনেড হামলা চালায়। তারপর নির্বিচারে গুলি চালানো শুরু করে। পাল্টা গুলির জবাব দিতে থাকে ভারতীয় সেনা। গুলির লড়াইয়ে সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়। পুলিশ জানায়, গতবছর ৩০ জুন বাদগামে একটি এনকাউন্টার চলাকালীন আদিল পালিয়ে গিয়েছিল। সেইসময় অপর এক জঙ্গি খতম হলেও আদিল বেঁচে গিয়েছিল।
উল্লেখ্য, ১২ জানুয়ারী হাম্মাদ খান সহ তিন সন্ত্রাসবাদীকে খতম করার আগে দক্ষিণ কাশ্মীরের অবন্তিপোরার চরসুতে হিজবুল সন্ত্রাসীরা শাহিদ আহমেদকে নিকেশ করেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। উল্লেখ্য ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকেই সেনাবাহিনীর ক্ষমতা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এলাকায় যৌথ তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে কাশ্মীর পুলিশ ও সেনাবাহিনী। তৎপরতা বাড়িয়ে সেনাবাহিনী একের পর এক সাফল্য পাচ্ছে।