মাসখানেক আগেই সংসদের ক্যান্টিনের খাবারের ওপর থেকে ভর্তুকি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সংসদের ক্যান্টিনে এবার চিরতরে বন্ধ হয়ে যেতে চলেছে আমিষ আহার। যে সকল ডিশ সংসদের সিগনেচার হিসেবে পরিচিত ছিল সেগুলিই এবার বন্ধ হয়ে যাবে। বিরিয়ানি, চিকেন কাটলেট, ফিশ অ্যান্ড চিপসের মতো জনপ্রিয় খাবারগুলির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে এবার সব খাবার নিরামিষ হবে পার্লামেন্টের। সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুব শিগগির নতুন নির্দেশিকার মাধ্যমে সমস্ত রকমের আমিষ রান্না-বান্না সেখানে বন্ধ করা হবে। প্রশ্ন উঠছে যেহেতু মোদীর মন্ত্রীদের প্রায় সকলেই নিরামিষভোজী, তাই কি এহেন পদক্ষেপ?
বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের বেশিরভাগ সাংসদই বিজেপির হওয়ায় তাদের খাদ্য তালিকায় অগ্রাধিকার পায় নিরামিষ। তাই নিজেদের সাংসদের কথা মাথায় রেখেই কার্যত এহেন পদক্ষেপ সরকার নিচ্ছে বলে ধারণা বিরোধী দলের সাংসদদের। দক্ষিণ ভারতের পাশাপাশি বেশ কিছু বাঙালি সাংসদদের অবশ্য এই নিয়ে আপত্তি রয়েছে।
একই সঙ্গে সংসদের ক্যান্টিনের দায়িত্ব এতদিন আইআরসিটিসি সামাল দিত। তাদেরও বিদায় জানানো হবে বলেই জানা যাচ্ছে। আইআরসিটিসি-র বদলে এবার ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্বে বিকানিরওয়ালা বা হলদিরামের মধ্যে কোনও একটি বেসরকারি সংস্থা আসতে চলেছে বলে খবর। কেননা সম্পূর্ণ নিরামিষ খাবারের ক্ষেত্রে এই দুই সংস্থার ওপর চোখ বন্ধ রেখে ভরসা করা যায় বা আরও স্পষ্ট করে বললে মোদী সরকার ভরসা করতে পারেন। এর ফলে আরও একবার প্রমাণিত হল কেন্দ্রের মোদী সরকার মানুষের খাদ্যাভ্যাসও নিয়ন্ত্রণ করে।