আগামীকাল কল্যাণীতে গোকুলাম কেরালার বিরুদ্ধে খেলতে নামছে কোয়েস ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু ম্যাচের ২৪ ঘন্টা আগেও উদ্বেগে রয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ আলেহান্দ্রো মেনেন্দেস গার্সিয়া। উদ্বেগের প্রথম কারণ রক্ষণ ও মাঝমাঠের ভরসা মার্তি ক্রেসপি এবং কাশিম আইদারা তিনটি করে হলুদ কার্ড। বুধবার গোকুলমের বিরুদ্ধে তাঁরা একটি কার্ড দেখলেই আগামী রবিবার মোহনবাগানের বিরুদ্ধে আই লিগের ডার্বিতে খেলতে পারবেন না। দ্বিতীয় কারণ রক্ষণের আর এক ভরসা বোরহা গোমেস পেরেস তাঁর শিশু সন্তানের অসুস্থার খবর পেয়ে স্পেনে ফিরে যাওয়া। তৃতীয় কারণ গোকুলামের মতো শক্ত প্রতিপক্ষ। কারণ এই গোকুলামের কাছে হেরেই ডুরান্ড কাপ সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। এবং চতুর্থ কারণ স্প্যানিশ স্ট্রাইকার মার্কোস খিমেনেস দে লা এসপারা মার্তিনদের গোল নষ্টের প্রবণতা।
আই লিগ টেবিলে এই মুহূর্তে অষ্টম স্থানে থাকলেও সোমবার কলকাতায় বসেই গোকুলামের কোচ সান্তিয়াগো ভালেরা ডুরান্ড কাপ সেমিফাইনালের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর হুঙ্কার দিয়েছেন। বলেছেন, ‘আলেহান্দ্রো দারুণ অভিজ্ঞ কোচ। ওদের বিদেশি ফুটবলারেরাও দারুণ। কিন্তু আমাদের দলও কিন্তু শক্তিশালী। আমরা কী করতে পারি, তা ডুরান্ড কাপেই দেখিয়েছি।’ এই পরিস্থিতিতে ইস্টবেঙ্গল কোচ ডার্বি নয়, গোকুলাম ম্যাচ নিয়েই শুধু ভাবতে চান। সোমবার সন্ধ্যায় রাজারহাটের একটি পাঁচতারা হোটেলে সাংবাদিক বৈঠকে আলেহান্দ্রো বললেন, ‘এই মুহূর্তে আমি শুধু গোকুলাম ম্যাচেই মনঃসংযোগ করছি। ডার্বি নিয়ে একেবারেই ভাবছি না।’
কিন্তু ক্রেসপি ও কাশিম আর একটা কার্ড দেখলেই তো ডার্বি থেকে ছিটকে যাবেন? আলেহান্দ্রোর ব্যাখ্যা, ‘এই ব্যপারটা অবশ্যই আমাকে ভাবাচ্ছে। কিন্তু সমস্যার সমাধান নিজেদেরই করতে হবে।’ এর পরেই যোগ করলেন, ‘এই ধরনের পরিস্থিতি হয়তো আমরা এড়াতেও পারতাম।’ আর গোল নষ্টের প্রবণতা? লাল-হলুদ কোচ বলছেন, ‘আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ গোলের সুযোগ ফুটবলারেরা তৈরি করতে পারছে কি না। আমার ছেলেদের ওপর আমি এখনও ভরসা রাখছি।’ এবার কল্যাণীতে মার্কোস-কোলাডোরা কোচের ভরসার মান রাখতে পারেন কিনা সেটাই দেখার।