দেশব্যাপী শুরু হয়েছে এনআরসি ও সিএএ-র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। আর এর ফলে মোটেই স্বস্তিতে নেই গেরুয়া শিবির। দলের অন্দরেও ক্রমশই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বিদ্রোহ। বাড়ছে বিদ্ধুব্ধ কর্মীর সংখ্যা। আর এবার তাঁর প্রমাণ মিলল হাতে নাতে। ভোপালে সংখ্যালঘু সেলের প্রায় ৪৮ জন সদস্য এই বিতর্কিত আইনকে কেন্দ্র করে বিজেপি ছাড়লেন। যার জেরে স্পষ্টতই কিছুটা হলেও বিপাকে পদ্ম শিবির।
যে নেতারা এই ইস্যুতে দল ছেড়েছেন সৈয়দ আলি খান তাঁদের মধ্যে অন্যতম। মোদী সরকারের দিকে সরাসরি আঙুল তুলেছেন সৈয়দ আলি খান। তিনি এক সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানিয়েছেন, “আপনি কি কখনও কোনও সরকারকে সংসদে একটি আইন পাস করানোর পর ঘরে ঘরে গিয়ে তার পক্ষে সমর্থন চাইতে দেখেছেন?”
যে সদস্যরা দলত্যাগ করেছেন, তাঁরা দলের মধ্যে বৈষম্যের অভিযোগ করেছেন। তাঁদের বক্তব্য দলের কিছু সদস্য একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আপত্তিজনক মন্তব্য করেছেন। যার ফলে প্রকাশ্যে চলে এসেছে এই ইস্যুতে বিজেপির অবস্থান। সূত্রের খবর অনুযায়ী, দলত্যাগীদের অভিযোগ দলের মধ্যে কোনও গণতন্ত্র অবশিষ্ট নেই। দুই বা তিনজন লোক পুরো পার্টিকে ‘হাইজ্যাক’ করে রেখেছে বলে তাঁদের অভিযোগ।