বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, বাংলায় এনআরসি হতে দেবেন না তিনি। কার্যকর করা হবে না সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনও। তার সুরে সুর মিলিয়েই কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, পাঞ্জাবের অমরিন্দর সিং, মধ্যপ্রদেশের কমল নাথ, উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক ও অন্যরা জানিয়ে দেন যে তাঁরাও নিজেদের রাজ্যে এনআরসি হতে দেবেন না। এবার একই সুর শোনা গেল নীতিশ কুমারের গলায়৷ বিহারে বিজেপির ‘শরিক’ হলেও, জেডিউ সুপ্রিমো তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ জানান, সিএএ নিয়ে বিতর্ক হওয়া উচিত। আর দেশজুড়ে এনআরসি বাস্তবায়নের কোনও প্রয়োজন বা যুক্তি নেই।
আগেও অবশ্য জেডিইউ প্রধান জানিয়েছিলেন যে, তাঁর রাজ্যে এনআরসি হচ্ছে না। তবে এবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সেই মন্তব্যে সরকারি শিলমোহর দিলেন তিনি। বিহার বিধানসভায় একদিনের বিশেষ অধিবেশনে এনআরসি নিয়ে সরব হয়েছিল লালু প্রসাদ যাদবের দল আরজেডি ও বামেরা। তারই জবাব দিতে গিয়ে নীতিশ বলেন, ‘সিএএ নিয়ে বিতর্ক হওয়া উচিত। মানুষ চাইলে এই নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা হবে। আর যদি এনআরসির কথা বলেন, তাহলে বলি যে এনআরসি করার কোনও প্রশ্নই নেই। এর কোনও যুক্তি নেই।’
যদিও সংসদে সিএএ বিল পাসের সময় বিলে সমর্থন জানিয়েছিল জেডিইউ। তবে রবিবারই রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে জেডিইউয়ের সহ-সভাপতি প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছিলেন, ‘সবাইকে আশ্বস্ত করে জানাই যে, বিহারে কোনও সিএএ-এনআরসি বাস্তবায়িত হচ্ছে না।’ ঠিক তার পরের দিনই সিএএ-এনআরসি নিয়ে সরব হতে দেখা গেল নীতিশকে। অন্যদিকে, এনডিএ-র অপর শরিক শিরোমণি আকালি দল সিএএতে মুসলিম সংরক্ষণ দাবি করেছে। দলের নেতা সুখবির সিং বাদল বলেন, ‘আকালি দল চায় মুসলিমরাও এই আইনের আওয়াতভুক্ত হোক। শুধু শিখ না, আমরা সব ধর্মের উন্নয়নের পক্ষেই সওয়াল করি।’