কয়েক সপ্তাহ ধরেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে উত্তাল গোটা দেশ। বিরোধী দলগুলির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই স্বতস্ফূর্তভাবে পথে নামছেন মানুষ। প্রতিবাদের আগুন জ্বলছে সর্বত্র। এবার তার আঁচ পড়ল বিদেশেও। কনকনে শীত উপেক্ষা করে শনিবার বার্লিনের রাস্তায় সিএএ-বিরোধী মিছিলে পা মেলালেন প্রায় কয়েকশো ছাত্রছাত্রী-সহ অন্যরা। মিছিলের ব্যানারে লেখা ছিল ‘ভারতীয় সংবিধানকে রক্ষা করুন’।
শনিবার সকালে অংশগ্রহণকারীরা জড়ো হন ব্রান্ডেনবুর্গ গেটের সামনে। সেখান পাঠ করা হয় ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা অংশ। এরপর দিনভর হেঁটে মিছিল পৌঁছোয় ভারতীয় দূতাবাসের সামনে। মাঝে চার্লি মোড়ে মিছিলকারীরা উর্দু ভাষায় গলা মেলান বেল্লা সিয়াওয়ের গানের সুরে। সঙ্গে গিটারে ঝঙ্কার তোলেন এক তরুণী। বাংলা, গুজরাট, ত্রিপুরা, কেরালা, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাবের বার্লিন প্রবাসী ছাত্রছাত্রী ও নাগরিকেরা পা মেলান মিছিলে। মিছিল শেষে চলে বক্তৃতা।
একদা নাৎসিনগরী বার্লিনের রাস্তায় এক তরুণের গলায় স্লোগান ওঠে ‘নিয়ে ভইয়েডার ফ্যাসসিমাস’, ‘আর নয় ফ্যাসিবাদ’। একইভাবে সিএএ, এনআরসি ও এনপিআরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সংগঠিত হয় লন্ডনে ভারতীয় হাই কমিশন দফতরের সামনেও। ৮ জানুয়ারির ১২ ঘণ্টার এই ধরনায় সামিল হন ২০০র বেশি ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষ। জেএনইউ, জামিয়া মিলিয়া ,আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নিয়েও সোচ্চার হন তাঁরা। দিনভর চলে গান, কবিতাপাঠ, বক্তৃতা ও থিয়েটার ওয়ার্কশপ।
বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিল সাউথ এশিয়া সলিডারিটি গ্রুপ এবং এসওএএস ইন্ডিয়া সোসাইটি। ‘পুলিসি বর্বরতা বন্ধ কর’, ‘সিএএ খারিজ কর’, ‘এনআরসি বয়কট কর’, ‘ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য ধর্মের পরীক্ষা দেব না’, ‘সাইমন মোদী গো ব্যাক’ লেখা প্ল্যাকার্ডের পাশাপাশি ‘আজাদি’র স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছিল গোটা চত্বর।