রাজ্য সভাপতি পদে দলেরই অনেকে নাকি আর চাইছেন না দিলীপ ঘোষকে। নতুন কাউকে বাংলার দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতেও ইতিমধ্যেই সরব রাজ্য বিজেপির একাংশ। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের কানেও সেই কথা পৌঁচেছে। আর তাই রাজ্যে ঘুরে গেলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা ভূপেন্দ্র যাদব। অমিত শাহ ঘনিষ্ঠ এই নেতা আলাদা করে বৈঠক করলেন রাজ্য নেতাদের সঙ্গে। দিলীপ ঘোষের বদলে এই মুহূর্তে কাকে এরাজ্যে দলের দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে সেব্যাপারেও নাকি কথা বলে গিয়েছেন ভূপেন্দ্র।
নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি ইস্যুতে দেশের বিভিন্ন অংশের পাশাপাশি এরাজ্যেও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। কেন্দ্র বিরোধিতায় সরব শাসকদল তৃণমূল থেকে শুরু করে বাম, কংগ্রেস-সহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলি। গত লোকসভা ভোটে এরাজ্যে ভাল ফল করলেও পরের উপনির্বাচনগুলিতে সেই ফল ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে গেরুয়া শিবির। এমনকী লোকসভা ভোটে জেতা কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রেও হার হয়েছে বিজেপির। একইসঙ্গে দলের অন্দরেও একের পর এক মন্তব্যের জন্য দলেরই একাংশের বিরাগভাজন হয়েছেন দিলীপ।
এরপর থেকেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে বদল নিয়ে চলছে বিস্তর জল্পনা। রাজ্য সভাপতি পদে দিলীপ ঘোষই থাকবেন নাকি তাঁর বদলে দায়িত্ব দেওয়া হবে অন্য কাউকে। সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ৬ নং মুরলিধর সেন লেনের অন্দরে। ইতিমধ্যেই কলকাতায় দূত পাঠিয়েছেন অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ ভূপেন্দ্র যাদব কোর কমিটির ১৫ জনের সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে বৈঠক করেছেন। নতুন সভাপতি নির্বাচনে খোলামেলা মতও নিয়েছেন কর্মীদের কাছ থেকে। তবে এখনই এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হচ্ছে না।
ভূপেন্দ্র যাদব কলকাতা থেকে ফিরে রিপোর্ট দেবেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। বঙ্গ বিজেপি নেতাদের সঙ্গে সভাপতি নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার উল্লেখ থাকবে সেই রিপোর্টে। তারপরই চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্তে আসবে গেরুয়া শিবির। তবে বঙ্গ বিজেপি নেতা-কর্মীদের যে আর দিলীপ ঘোষে ‘আস্থা’ নেই, সেটা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।