এই মুহূর্তের সবথেকে বড় খবর সানি দেওল নিখোঁজ! কোথায় বিজেপি’র অভিনেতা–সাংসদ? এই প্রশ্ন নিয়ে এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ এমন পোস্টার পড়েছে পাঞ্জাবের পাঠানকোটে। যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আর চর্চাও তুঙ্গে উঠেছে।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে বিজেপিতে যোগ দেন বলিউড অভিনেতা সানি দেওল। কিছুদিনের মধ্যেই গুরুদাসপুর কেন্দ্রে তাঁকে প্রার্থী করে বিজেপি। সেই আসন থেকে জিতে সাংসদও হয়ে যান তিনি। কিন্তু তার পর থেকে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে কার্যত পা রাখেননি বললেই চলে। আর তা নিয়ে জনমানসে বেশ ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বলে খবর। স্থানীয় বেশ কিছু লোকজন জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে দেখতে পাওয়া যায়নি সাংসদকে। যা নিয়ে এলাকায় চর্চা অব্যাহত।
জানা গিয়েছে, বিতর্কের সূত্রপাত তাঁর জয়ের পর কিছুদিনের মধ্যেই গুরপ্রীত সিং পালহেরি নামক এক লেখককে ওই কেন্দ্রে তাঁর প্রতিনিধি মনোনয়ন করে দেন। তাঁর হয়ে সমস্ত কাজের দেখভালের দায়িত্ব পালহেরিকে দিয়ে দেন এই অভিনেতা–সাংসদ। এমনকী সংসদে হাজিরার ক্ষেত্রেও ন্যক্কারজনক রেকর্ড করে ফেলেন তিনি। জুন মাস থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত নতুন লোকসভার প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। তখন তিনি সংসদে ২৮ দিন অনুপস্থিত ছিলেন। মাত্র ৯ বার সংসদে হাজিরা দেন তিনি।
ফলে তিনি নিখোঁজ বলে পোস্টার পড়েছে পাঞ্জাবের পাঠানকোট–সহ রেল স্টেশনেও। এই পোস্টার কারা লাগিয়েছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। তবে বিজেপি মনে করছে বিরোধী কংগ্রেসের কর্মীদেরই কাজ এটি। এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। সানিকে নিজের কেন্দ্রে দেখা না গেলেও ঝাড়খণ্ড নির্বাচনের প্রচারে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। করতারপুর করিডোরের উদ্বোধনের সময়েও হাজির ছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, সানি দেওলের বিরুদ্ধে লোকসভা ভোটে ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন সুনীল জাকর। এই নিয়ে কংগ্রেসের নেতা তথা পাঞ্জাবের সাংসদ মনীশ তিওয়ারি বলেন, ‘সুনীল জাকরকে নির্বাচিত না করে গুরুদাসপুর একটা সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেছে।’