কয়েক সপ্তাহ ধরেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন(সিএএ), এনআরসি, এনপিআরের বিরুদ্ধে উত্তাল গোটা দেশ। বিরোধী দলগুলির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই স্বতস্ফূর্তভাবে পথে নামছেন মানুষ। প্রতিবাদের আগুন জ্বলছে সর্বত্র। যার আঁচ পৌঁছেছে সুদূর লন্ডন-বার্লিনেও। এই পরিস্থিতিতে একের পর এক টুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পরামর্শ দিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম। প্রধানমন্ত্রী মোদী আশ্বাস দিয়েছেন যে নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইনের ফলে একজন ভারতীয়েরও নাগরিকত্ব কাড়া হবে না। চিদম্বরম বলেন, তাঁর সমালোচনায় সরব পাঁচটি শহরকে বেছে নিন প্রধানমন্ত্রী মোদী, তাঁদের সঙ্গে টেলিভিশনে প্রশ্নোত্তর পর্ব করুন তিনি।
রবিবার, বাংলা সফরের শেষদিন মহাত্মা গান্ধীকে উদ্ধৃত করে মোদী সওয়াল করেন নতুন নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে। তিনি বলেছিলেন, ‘নতুন এই আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য। স্বাধীনতার পরে মহাত্মা গান্ধী ও অন্য বড় নেতারা মনে করতেন যেসব সংখ্যালঘু ধর্মীয় ভাবে পাকিস্তানে নিপীড়িত তাদের ভারতে জায়গা দেওয়া উচিত।’ এ প্রসঙ্গে চিদম্বরম বলেন, উঁচু বেদির উপর থেকে কিছু বললে শ্রোতারা নীরবই থেকে যান, তাঁরা কোনও প্রশ্ন করতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন নতুন আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না। তবে তাঁরা মনে করেন এনপিআর-এনআরসির সঙ্গে একযোগে সিএএ প্রয়োগ করলে অনেককেই অ-নাগরিক হিসাবে ঘোষণা করা হবে।
তাই চিদম্বরম মনে করেন, যে শহরগুলি সিএএ-র বিরুদ্ধে সবচেয়ে সরব সেই শহরগুলিতে প্রশ্নোত্তর পর্ব করুন মোদী। কংগ্রেস কার্যনিবার্হী কমিটির বৈঠকের পরেই চিদম্বরম টুইটগুলি করেছেন। শনিবারই দিল্লীতে কংগ্রেস কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বলেছিলেন, ‘নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন পক্ষপাতদুষ্ট ও বিভেদমূলক, এর উদ্দেশ্য কী তা প্রত্যেক দেশপ্রেমিক, সহনশীল ও ধর্মনিরপেক্ষ ভারতীয় মাত্রই বুঝতে পেরেছে, এই আইন ধর্মের ভিত্তিতে ভারতীয়দের বিভক্ত করবে।’ তাঁর দল চায় এখনই এই আইন প্রত্যাহার করা হোক।