গতকাল রাজভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, সিএএ-এনআরসি-এনপিআর অবিলম্বে রদ করতে হবে। এবার এই প্রক্রিয়া রদ করার দাবি তুললেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীও। এই দাবিতে সায় দিলেন তাঁর মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরাও। একই সঙ্গে সোনিয়া জানিয়ে দিলেন, এ বছরের এনপিআর-এর মোড়কেই যে আসলেএনআরসি লুকিয়ে আছে, সে বিষয়ে কোনও সংশয় থাকা উচিত নয়।
বিরোধী শিবিরের সবথেকে বড় দল কংগ্রেস সিএএ এবং এনপিআর নিয়ে এতটা কঠোর অবস্থান নিলেও আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের রাজ্যগুলিকে কোনও নির্দেশ দিচ্ছে না উপর মহল। কিন্তু দলের সূত্র বলছে, সোমবারই বিরোধী দলগুলির বৈঠক রয়েছে দিল্লীতে। সব বিরোধী দল শাসিত রাজ্যগুলি বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করতে পারে, তাদের রাজ্যে সিএএ এবং এনপিআর বলবৎ হবে না। তা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যে বিরোধ তৈরি হতে পারে। সেটি কী ভাবে নিষ্পত্তি হবে, রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ প্রয়োজন নাকি আদালতে গিয়ে মীমাংসা করা হবে, সেই বিষয় নিয়ে বিরোধী শিবিরে সবিস্তার আলোচনা করা প্রয়োজন।
সোনিয়া গান্ধীর উদ্যোগে সোমবারের বিরোধী শিবিরের বৈঠকের আগে আজ কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হয় দিল্লীতে কংগ্রেসের সদর দফতরে। বৈঠকের শুরুতেই সোনিয়া গান্ধী বলেন, ‘বিজেপি সরকার আসলে গোটা দেশেই এনআরসি করতে চেয়েছিল। কিন্তু আসামের অভিজ্ঞতার পর এখন এনপিআর নিয়ে এসেছে। যেটি আসলে এনআরসি-র জন্যই পদক্ষেপ। রাজ্যে রাজ্যে আমাদের অভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
ইতিমধ্যেই অনেক রাজ্য সিএএ ও এনপিআর না-করার কথা ঘোষণা করেছে। কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও সেই পথ অনুসরণ করেছেন। কিন্তু কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যকে বার্তা দেওয়া হয়েছে, রাজ্য এমন কাজ করতে পারে না। সে ক্ষেত্রে গোটা দেশে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হবে। সেটি বুঝেই আজ ওয়ার্কিং কমিটি আলাদা করে কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি।