বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবার অ্যাম্বুল্যান্স কাণ্ডের দায় এড়াতে প্রশান্ত কিশোরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন৷ তিনি জানান, গোটা ঘটনাটি ঘটে তৃণমূলের নির্বাচনী স্ট্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের পরিকল্পনামাফিক। ইচ্ছাকৃত ভাবেই নাকি সেদিন সভাস্থলে অ্যাম্বুল্যান্স প্রবেশ করানো হয়েছিল। দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই বিদ্বেষ প্রকাশ করছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। দানা বাঁধছে বিতর্কও।
অভিযোগ দায়েরের পরও অ্যাম্বুল্যান্সে প্রসূতি থাকার বিষয়টি মানতে নারাজ দিলীপ ঘোষ। উপরন্তু তাঁর বক্তব্য, “এ রাজ্যে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নেশার দ্রব্য, বোমা পাচার করা হয়। সভা বানচাল করতে ওই এলাকায় ফাঁকা অ্যাম্বুল্যান্সটি পাঠানো হয়েছিল।” এবং তাঁর দাবি গোটা ঘটনাটিই পিকে-এর মস্তিষ্কপ্রসূত।
ওই দিনের ঘটনা সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হয়ে যায়। খোঁজ নিয়ে পুলিশ জানতে পারে, ওই অ্যাম্বুল্যান্সে ছিলেন এক প্রসূতি। তাঁর নাম মঞ্জিরা বিবি। তিনি নদিয়ার ধুবুলিয়ার বাসিন্দা। সেদিন কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাঁকে।
সিএএ সমর্থনে গত সোমবার কৃষ্ণনগরে এক সভায় বক্তৃতা দেন দিলীপ ঘোষ। বক্তব্য রাখার সময় সেখানে একটি অ্যাম্বুল্যান্স এসে পড়ায় তাকজন্য রাস্তা করে দেওয়ার কোনও উদ্যোগ নেননি। পরিবর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বলেন, ‘‘এখান দিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। লোকে রাস্তায় বসে রয়েছে। ডিস্টার্ব হয়ে যাবে। ঘুরিয়ে অন্য দিক দিয়ে নিয়ে যান।’’