আজ শনিবার দুদিনের সফরে কলকাতায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যার জেরে এদিন শুরু থেকেই শহরজুড়ে আন্দোলনে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। কথামত রাজভবনে প্রধানমন্ত্রী নেরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত সেরে সরাসরি ধর্মতলায় তৃমমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বে শুরু হওয়া সিএএ বিরোধী ধরনা মঞ্চে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গলা মেলান প্রতিবাদী ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে।
এদিন মমতা সরাসরি না বলেও নাম না করে ফের একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বেলুড়মঠে যাওয়ার ইস্যুতে আক্রমণ করেন। বলেন, ‘রবিবার স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন। দিল্লি থেকে কেউ কেউ ছুটে আসে এই দিন পালন করতে।’ তিনি বলেন, রাজ্যের মানুষ প্রতিদিন স্বামী বিবেকানন্দকে মেনে চলেন। বিবেকানন্দ মানব ধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন। সব ধর্মের, রাজ্যের মানুষ থাকবে। ধর্মী ভিত্তিতে দেশে সিএএ, এনআরসি হবে না বার্তা মমতার। মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা নাগরিকত্ব আমাদের অধিকার। ভোট দিয়ে সরাকর নির্বাচন করে মানুষ। আসম নিয়েও এদিন মোদীকে খোঁচাদেন মমতা।
এদিন মমতা বলেন, বলপূর্বক এনআরসি নিয়ে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, তা কগোজে কলমেই থাকবে। রাজ্য সরকার এই বিজ্ঞপ্তি লাগু করবে না বলে এদিন ধরনা মঞ্চে দাঁড়িয়ে ফের একবার কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল নেত্রী। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞপ্তিকে কেটে দিয়েছে তৃণমূল নেত্রী বলেন বলেন, ধর্ম, জাতির ভিত্তিতে কখনও সংবিধানিক ভাবে কোনও আইন লাগু করা যায় না। পাশাপাশি অন্য ছাত্র ছাত্রীরাও এর বিরুদ্ধে সরব হয়ছে বলে তাঁদেরও অভিনন্দন জানান মৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, এই আন্দোলন নতুন ও মানবিক মুখ তুলে এনেছে। ভাগাভাগির ভিত্তিতে আইন প্রনয়ণ নয়। তৃণমূল সুপ্রিমো সরাসরি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, ঘুম আপনাদের মানুষ ভাঙাবেই। জেগে ঘুমিয়ে থাকুন। আন্দোলনমুখি মানুষ নতুন আলো দেখবেই।