জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনার মোড় ঘোরাতে তড়িগড়ি আক্রান্ত ঐশী ঘোষদের কাঠগড়ায় তুলেছে দিল্লী পুলিশ। কিন্তু কাকতালীয়ভাবে, দিল্লী পুলিশের ডিসি র্যাঙ্কের যে অফিসার সহজেই দুষ্কৃতীদের আড়াল করে ঐশীদের দোষী সাব্যস্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছেন তাঁর বিরুদ্ধেই অভিযোগ রয়েছে বিস্তর। এমনকী তোলাবাজির অভিযোগে দীর্ঘ সময় দিল্লী পুলিশের এই পদস্থ কর্তার বিরুদ্ধে তদন্তও চালিয়েছিল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। শুধু তোলাবাজি নয়, অভিযোগ রয়েছে, দিল্লীতে পুলিশের প্রকাশ্য গুলি চালানোর ঘটনায় প্রত্যক্ষ মদত ছিল অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জয় তিরকের। ওয়াকিবহল মহলের দাবি, সুতরাং তিনি যে ঘটনার মোড় ঘোরাতে ওস্তাদ তা সহজেই অনুমেয়।
কী অভিযোগ রয়েছে জয় তিরকে (ডিসি)-র বিরুদ্ধে? নেহরু প্যালেসের সামনে দিল্লীর হেড কনস্টেবল অমিত তোমার-সহ তিন পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে গুলি চালানোর অভিযোগ করেছিল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সেই ঘটনায় কাঠগড়ায় উঠেছিলেন তিরকে। এমনকী ঘটনার সঙ্গে তাঁর প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে এই অভিযোগে তিরকেকে ২০১৩ সালে শমন পাঠায় ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
শুধু তাই নয়, আচমকাই হেড কনস্টেবল তোমারকে তড়িঘড়ি বিশেষ তদন্তকারী দলে বদলি করে দেন তিরকে। ক্রাইম ব্রাঞ্চের অভিযোগ ছিল, টানা জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েও তদন্তকারীদের কোনও সহযোগিতা করেনি তোমার। সেই সময় খোদ ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসারেরা ক্ষোভের সঙ্গে জানিয়েছিল, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জয় তিরকে তোমারকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। এবং তিরকেই এই অভিযুক্ত তোমারকে সাহায্য করেছেন।
পাশাপাশি সঞ্জয় কুমার ঠাকুর অপহরণ এবং তোলাবাজির মামলাতেও অভিযুক্ত তিরকে। ক্রাইম ব্রাঞ্চের দাবি, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ব্যাপক তোলাবাজি চালিয়েছেন তিরকে। শেষ পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের বাঁচাতে এবং জেএনইউ কাণ্ডের মোড় ঘোরাতে সেই অভিযুক্ত অফিসার তিরকের উপরেই ভরসা রেখেছে অমিত শাহের পুলিশ।