বিজেপির শরিক দল হিসেবে যখন জোটের মধ্যে ছিলেন তখনই থেকেই উদ্ধব ঠাকরে দাবি তুলেছিলেন, বিচারক ব্রিজগোপাল হরিকিষান লোয়ার মৃত্যু-রহস্যের গভীর তদন্ত প্রয়োজন। এইবার উদ্ধবের কোটে বল। আর সুযোগ বুঝেই বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর চাপ বাড়াতে চলেছে মহারাষ্ট্র সরকার। হ্যাঁ, আবার খোলা হবে বিচারক লোয়ার মৃত্যু-রহস্য মামলা। সেইসঙ্গে পুনর্বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে ভীমা কোরেগাঁও মামলারও।
বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ জানিয়েছেন, ‘কেউ মোদী সরকারের সমালোচনা করলেই তাঁর গায়ে আরবান নকশাল বা অতি বাম তকমা সাঁটিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’ সেইসঙ্গেই তিনি বলেন, ‘বিচারক লোয়া মামলা চালু করার দাবি যদি ওঠে, তাহলে রাজ্য সরকার তাতে সম্মতি দেবে।’ এর থেকেই স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে যে, মামলার ফাইল আবার খুলতে চলেছে উদ্ধব ঠাকরের সরকার।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে বিজেপি ও তাদের সভাপতি অমিত শাহকে চেপে ধরার কৌশল নিতে চলেছে বিরোধী শিবির। শুধু তাই নয়। এর পাশাপাশি ভীমা কোরেগাঁও মামলার পুনর্বিচার প্রক্রিয়াও শুরু করতে চলেছে উদ্ধব সরকার। যে কারণে ইতিমধ্যেই চেয়ে পাঠানো হয়েছে মামলা সংক্রান্ত ফাইলগুলি। এই দুটি ক্ষেত্রেই যে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব চাপে পড়তে পারে, তা বলাই বাহুল্য।
উল্লেখ্য, গুজরাতে বিতর্কিত সোহরাবুদ্দিন হত্যা মামলার বিচারক ছিলেন লোয়া। যে মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন শাহ। নিরাপত্তার খাতিরে হাইপ্রোফাইল মামলাটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় মুম্বইয়ে। শুনানি চলার পর্বে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় লোয়ার। নাগপুরে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন লোয়া। সেই অনুষ্ঠানেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। বিচারক লোয়ার সেই আচমকা মৃত্যুর পরে নতুন বিচারক আসেন। এবং ঠিক এক মাসের মাথায় বেকসুর খালাস পেয়ে যান শাহ।