ক্রমশ বেহাল হয়ে পড়ছে দেশের অর্থনীতি। ধস নেমেছে একের পর এক শিল্পে। বন্ধ হচ্ছে কর্মক্ষেত্র। গোটা দেশজুড়েই বিরাজ করছে বেকারত্ব। বিগত ৪৫ বছরে বেকারত্বের এমন হার আর কখনও দেখা যায়নি। যার ফলে দেশে বাড়ছে আত্মহত্যার মতো ঘটনা। কেন্দ্রীয় মোদী সরকার বিষয়টি মানতে না চাইলেও ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর সাম্প্রতিক রিপোর্ট তাই প্রমাণ করে দিল।
সূত্রের খবর, ২০১৮ সালের রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, ভারতবর্ষে প্রতি দু’ঘন্টায় তিন জন ব্যক্তি বেকারত্বের কারণে আত্মহত্যা করছেন। ২০১৮ সালে যত আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে দেশে, তার ৯.৬ শতাংশ আত্মহত্যার ঘটনাই এই বেকারত্বের কারণে ঘটেছে। শুধু গরীব পরিবারই এর শিকার হচ্ছে না। শিক্ষিত সমাজও বেকারত্বের শিকার হচ্ছে। কারণ দেশে চাকরি নেই।
এই রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, যাঁদের আয় বছরে এক লক্ষ টাকার কম তাঁরাই মূলত আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। ২০১৮ সালে মোট আত্মহত্যার ঘটনার ৬৬ শতাংশ এই তালিকায়। মোট আত্মহত্যার ২৯.১ শতাংশ তাঁরা, যাঁদের আয় এক থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এমনকি ২০১৮ সাল থেকে এখনও অবধি মোট ১০ হাজার পড়ুয়ার আত্মহত্যার খবর মিলেছে। মোট আত্মহত্যার ১.৩ শতাংশ সরকারি চাকুরিজীবি ও ৬.১ শতাংশ বেসরকারি চাকুরিজীবি।