২০১৪ সালের ২ অক্টোবর। ধুমধাম ক’রে স্বচ্ছ ভারত অভিযান এর প্রচার শুরু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেই দিয়েছিলেন, ঘরে ঘরে শৌচালয় গড়ে উঠবে এবার। কিন্তু তা তো হয়ইনি। বরং যে চিত্রটা সামনে এসেছে, তাতে কলঙ্কের ভাগীদার হতে হচ্ছে মোদী সরকারকে। এ নিয়ে মুখ খুলে এবার দুর্নীতির জন্যই মোদীর ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ ব্যর্থ বলে জানিয়ে দিলেন খোদ বিজেপি নেতা দিলীপ শ্রীবাস্তব। তাঁর অভিযোগ, ‘যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশের লখনউতে সরকার-পুরকর্মীদের যোগসাজশেই চলছে দুর্নীতি।’
শুধু তাই নয়। ২ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে চিঠিও দিয়েছেন শ্রীবাস্তব। লিখেছেন, ‘লখনউ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে রমরমিয়ে দুর্নীতি চলছে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের আনুকূল্যেই। টেন্ডার ছাড়াই দু’বছর আগে আবর্জনা সংগ্রহের কাজ বেসরকারি সংস্থা ‘ইকো গ্রিন’ ও নালা-নর্দমা সাফাইয়ের দায়িত্ব পেয়েছে ‘সুযশ’ নামে একটি সংস্থা। কাজ করতে না পারলেও সংস্থা দুটির টাকা আটকায়নি। স্বচ্ছতার তালিকায় অনেক নীচে রয়েছে লখনউ। এই দায় কার?’
চিঠির কপি মোদী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংকেও পাঠিয়েছেন শ্রীবাস্তব। সাংবাদিকদের শ্রীবাস্তব বলেন, ‘দুটোই বেসরকারি সংস্থা। তাঁদের না আছে কাজের অভিজ্ঞতা, না আছে কর্মী। কাজের সরঞ্জাম পর্যন্ত নেই। লখনউয়ের পুর-পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। মানুষ অসম্ভব ক্ষুব্ধ। তাঁরা ফুঁসছেন। পথে নামতে পারেন। সাঙ্ঘাতিক দুর্নীতি আর এই চক্রের কারণে আমরাও কাজ করতে পারছি না। নিজেদের অসহায়তার কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। লখনউ শহরের চর্তুদিকে জঞ্জালের স্তূপ, নালা-নর্দমা উপচে পড়ছে। স্মার্ট শহরের জন্য বরাদ্দ টাকার কোথায় যাচ্ছে তাও জানতে পারছি না আমরা।’