অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের ন’টি সংস্থা সোমবার কলকাতায় একজোট হয়ে বৈঠকে বসেছিল। উদ্দেশ্য, মোদী সরকার যে অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের মধ্যে থেকে লোকসভা ও কিছু রাজ্য বিধানসভায় মনোনীত সদস্য নেওয়ার ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছে, তার প্রতিবাদ করা এবং পুরোনো ব্যবস্থা যাতে ফিরে আসে, তার চেষ্টা করা। আর এই বৈঠকেই প্রবল চাপের মুখে পড়লেন বিজেপির দুই অ্যাংলো ইন্ডিয়ান বিধায়ক। চাপটা এল তাঁদের সম্প্রদায়ের কাছ থেকেই। দেশের প্রধান ন’টি অ্যাংলো ইন্ডিয়ান সংগঠনের তরফে বিজেপি বিধায়কদের জানিয়ে দেওয়া হল, মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে যে প্রতিনিধি দল রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যাবে, তাতে হয় তাঁদের নেতৃত্ব দিতে হবে অথবা সামিল হতে হবে।
তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দল নয়, সম্প্রদায়ের স্বার্থই আগে দেখতে হবে। সম্প্রদায়ের তরফ থেকে এই কড়া মনোভাবের পর তাঁরা শ্যাম রাখি না কুল রাখি-র সমস্যায় পড়েছেন। সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলে দল চটবে। আর বিরোধিতা না করলে সম্প্রদায়ের কাছে ভিলেন প্রতিপন্ন হবেন তাঁরা। এর ফলে কার্যত উভয় সংকটে তাঁরা।
মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের ফলে লোকসভায় এ বার আর অ্যাংলো ইন্ডিয়ান মনোনীত সদস্য কেউ নেই। গতবারেও দুজন ছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা জর্জ বেকার। সূত্রের খবর, তিনি বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছেন। ফলে তাঁকে নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। সমস্যাটা উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের দুই বিজেপি নেতাকে নিয়ে। তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সম্প্রদায়ের স্বার্থে তাঁদের প্রতিবাদী হতেই হবে। মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে যে অ্যাংলো ইন্ডিয়ান প্রতিনিধদল যাবে, সেখানে তাঁদের থাকতেই হবে।
যে ন’টি সংস্থার সদস্যরা বৈঠকে ছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম হল, অল ইন্ডিয়া অ্যাংলো ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন, যাদের সতেরোটি রাজ্যে ৭০টি শাখা আছে। অন্যটি, ৭০০টি স্কুলের ৭০০ অ্যাংলো ইন্ডিয়ান প্রিন্সিপালের সংগঠন, অ্যাসোসিয়েশন অফ অ্যাংলো ইন্ডিয়ান স্কুলস।