গত বারের যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের পরে গতকাল অকল্যান্ডে এসিবি ক্ল্যাসিক প্রতিযোগিতায় সিঙ্গলসে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন সেরিনা উইলিয়ামস। বিপক্ষে ছিলেন ক্যামিলা জর্জি। এক ঘণ্টার একটু বেশি সময়ে সেরিনা বিপক্ষকে উড়িয়ে দেন ৬-৩, ৬-২-এ। এর আগের দিন ডাবলসে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ক্যারোলিন ওজনিয়াকির সঙ্গে জুটিতে দুরন্ত জয় পেয়েছিলেন সেরিনা। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে দ্বিতীয় রাউন্ডে ক্যামিলাকে দাঁড়াতেই দেননি মার্কিন তারকা। এই নিয়ে পাঁচ বার মুখোমুখি লড়াইয়ে পাঁচ বারই ক্যামিলাকে হারালেন তিনি।
ম্যাচ জিতে উঠে সেরিনা বলেন, ‘নিখুঁত টেনিস খেলেছি। অনেক দিন প্রতিযোগিতার বাইরে ছিলাম। ম্যাচ খেলার অভ্যেস ফিরিয়ে আনতে হয়েছে তাই। ঠিকঠাক দেখলে এটা আমার কোর্টে ফেরার পরে দ্বিতীয় ম্যাচ। নতুন মরসুম শুরু করার দিক থেকে এই জয় অনেক আত্মবিশ্বাস দেবে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘অস্ট্রেলীয় ওপেনের প্রস্তুতি নিতে এই প্রতিযোগিতায় নেমেছি আমি।’
অন্যদিকে, গত মরসুমে চোট-আঘাতের সমস্যায় ভোগা মারিয়া শারাপোভাও যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের পরে প্রথম প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন ব্রিসবেনে। ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে নামা প্রাক্তন বিশ্বসেরা রুশ তারকার বিরুদ্ধে লড়াই ছিল বাছাই পর্ব পেরিয়ে আসা জেনিফার ব্র্যাডির। কিন্তু প্রথম সেট জেতার পরেও শেষ অবধি শারাপোভা হেরে যান ৬-৩, ১-৬, ৬-৭ (৩-৭)। এই প্রতিযোগিতাতেই ২০১৫ সালে জিতেছিলেন রুশ তারকা। গত বছরেও তিনি এখানে সেমিফাইনালে উঠেছিলেন। কিন্তু এ বার বিশ্বের ৫৩ নম্বর ব্র্যাডি পাঁচ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী শারাপোভার চেয়ে বেশি ধারাবাহিকতা দেখিয়ে শেষ হাসি হাসলেন।
শারাপোভাকে প্রথম সেটে অবশ্য পুরনো ছন্দেই লাগছিল ২৪ বছর বয়সি মার্কিন প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে। বাছাই পর্বে তিনটি ম্যাচে কোনও সেট না খোয়ানো ব্র্যাডি দ্রুত ধাক্কা সামলে নেন। দ্বিতীয় সেটে তিনি কোনও সুযোগ দেননি শারাপোভাকে। এদিনের ম্যাচে এতটাই নিখুঁত খেলেছেন ব্র্যাডি যে, কোনওরকম অনিচ্ছাকৃত ভুলও করেননি তিনি। এই সময়ে শারাপোভা আবার চারটি ডাবল ফল্ট এবং দুটো সার্ভিস রিটার্ন ফস্কান। যে সুযোগটা পুরোপুরি তুলে নেন ব্র্যাডি।