মেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে নিজে গঙ্গাসাগর গিয়েছিলেন। গত ২ দিন সেখানেই ছিলেন তিনি। আর আজ সেখান থেকে ফিরেই কলকাতার বাবুঘাট থেকে গঙ্গাসাগর মেলার উদ্বোধন করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই অনুষ্ঠান থেকেই তিনি বলেন, ‘শান্তির সঙ্গে গঙ্গাসাগর মেলায় কাটান। বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ আসেন গঙ্গাসাগরে, তাঁদের ভাষা আলাদা হতে পারে, কিন্তু বাংলায় এলে আপনাদের কোনও সমস্যা হবে না। আপনাদের সবাইকে স্বাগত। আসুন সবাই মিলেমিশে তীর্থযাত্রা করি।’
এবার থেকেই গঙ্গাসাগর পুণ্যার্থীদের জন্য আর্থিক সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫ লক্ষ টাকা করে বিমা দেবে রাজ্য সরকার। আগামী পরশু শুক্রবার ১০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হবে গঙ্গাসাগর মেলা। চলবে ১৭ তারিখ রাত পর্যন্ত। এরমধ্যে গঙ্গাসাগরে যাওয়া পুণ্যার্থীরা এই বিমার আওতায় পড়বেন। গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এই ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এত কষ্ট করে গঙ্গাসাগর তীর্থ করতে হয়। তাই এই মেলা হোক সম্প্রীতির মেলা, আনন্দের উৎসব! সবাই ভালো থাকুন।’
১৫ জানুয়ারি, বুধবার ভোর থেকেই গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান শুরু হয়ে যাবে। মকর সংক্রান্তির স্নানের যোগকে কেন্দ্র করে বহু মানুষের সমাগম হবে সাগরে। গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী নিজেও গিয়েছিলেন গঙ্গাসাগরে। কপিল মুনির আশ্রমে তিনি পুজোও দেন। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গঙ্গাসাগরে সরকারের উন্নয়ন-কাজের ফিরিস্তি দেন।
অন্য দিকে, জলপথেও উপকূলরক্ষী বাহিনী মেলার ওপর নজরদারি চালাবে। নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে সাগর প্রাঙ্গণে মাথার উপর চক্কর কাটবে ড্রোন ও হেলিকপ্টার। থাকছে হিলিয়াম বেলুনে ক্যামেরার নজরদারিও। এক পুলিশকর্তা জানান, পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় ১০ হাজারেরও বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে মেলায়।
এদিনও অবশ্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গঙ্গাসাগর মেলার জন্য কোনও সাহায্য না পাওয়ারও অভিযোগ করেছেন মমতা। বলেন, ‘কুম্ভমেলার জন্য কেন্দ্র সাহায্য করে অনেক। কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলার জন্য কোনও সহায়তা নেই। তবে আমাদের সরকার অনেক করেছে। পাল্টে দিয়েছি গঙ্গাসাগরের চেহারা।’