গায়ের জোরে বনধ করার অভিযোগ তুলে সকালেই বাম-সহ বিরোধীদের ডাকা ভারত বনধকে তীব্র ধিক্কার জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিপিএমের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে বলেছিলেন, বাসে বোম মেরে, ট্রেনের নীচে বোম রেখে সস্তায় পাবলিসিটি কুড়োতে চাইছে বামেরা। মমতার অভিযোগ যে আদৌ ভ্রান্ত নয়, এবার প্রমাণ মিলল তার। ভারত বনধ সফল করতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তাণ্ডব চালাল বনধ সমর্থকরা। কোথাও সরকারি বাসের কাচ ভেঙে, তো কোথাও অটো ভেঙে বনধ পালন করতে বাধ্য করা হল সাধারণ মানুষকে।
সাত সকালেই বারাসত দিয়ে এ হেন কান্ড শুরু করেছিল ধর্মঘটীরা। আর বেলা গড়াতে ফের সেই ছবির ধরা পড়ল মল্লিকবাজারে। সকালেই মল্লিকবাজারে বনধ করার নামে দাদাগিরি শুরু করে দেয় বন্ধ সমর্থকরা। মল্লিকবাজারে যেখানে গাড়ির যন্ত্রাংশের দোকান রয়েছে সেখানে প্রতিটি দোকানে গিয়ে জোর করে শার্টার নামিয়ে দেন তাঁরা। যেখানে বামেদের সঙ্গে ছিল আইএনটিইউসির কর্মীরাও। তাদের তাণ্ডবে যারপরনাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন দোকানদাররা। এমনকী সংবাদ মাধ্যমের তরফে এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে সাংবাদিককে ঘিরে ধরে নিগ্রহ করেন বিক্ষোভ ধর্মঘটীরা। বিভিন্ন ধরনের কুকথাও বলা হয় তাঁকে।
ধর্মঘটীদের বক্তব্য, তাঁরা দোকানে দোকানে দিয়ে বনধ করতে অনুরোধ করছেন। বাস্তবে কিন্তু দেখা গিয়েছে ভিন্ন চিত্র। হুমকি দিয়েই তাঁরা দোকানের শার্টার নামাতে বাধ্য করছিলেন একের পর এক দোকানদারকে। দোকান বন্ধ করতে রাস্তায় নামা এক ব্যক্তি বলেন, দোকানদারদের বলা হচ্ছে আপনাদের জন্য রাস্তায় নেমেছি আমরা। দেশে কাজ নেই, একের পর এক ব্যবসা বন্ধ হচ্ছে। আপনারা দোকান বন্ধ করুন। তবে সেই অনুরোধের ভাষা প্রচ্ছন্ন হুমকি ছিল বলেই দাবি তাঁর। বনধকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের এ হেন আচরণেই ক্ষুব্ধ মমতা। তাঁর সাফ কথা, বছরে চারবার করে বন্ধ করে সিপিএম। ট্রেনের চাকার নিচে বোমা রেখে দেওয়া কোন আন্দোলন নয়। ওরা গুন্ডাগিরি করেছে।