মিশন কাশ্মীর সফল। এবার মোহন কোচ কিবু ভিকুনা চান, পরের ম্যাচে ফোকাস করতে। ম্যাচের পর টিম হোটেলে ফিরে ডিনার টেবিলে ভিকুনা ফুটবলারদের বলেন যে, কাশ্মীর ম্যাচের সাফল্য ভুলে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। বলা চলে কাশ্মীর থেকেই ইন্ডিয়ান অ্যারোজে ঢুকে পড়েছে।
তবে মোহনবাগান শিবিরে আপাতত স্বল্প দুশ্চিন্তার মেঘ।কাশ্মীর ম্যাচে বাঁ–কাঁধে হালকা চোট পান ফ্রান গঞ্জালেস। ড্রেসিংরুমের খবর, চোট তেমন গুরুতর নয়। দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আজ প্র্যাকটিসে নামার কথা গঞ্জালেসের। তবে, ম্যাচের পর কাশ্মীরের ঠান্ডায় গঞ্জালেসের কাঁধের ব্যথা বেড়েছিল। তাই তিনি যতক্ষণ না সুস্থ হচ্ছেন নিশ্চিন্ত হচ্ছেন না ভিকুনা। অন্যদিকে গোলের নীচে শঙ্করের ফর্ম স্বস্তি দিচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। কিন্তু সুহেরের ফর্ম দুশ্চিন্তায় রেখেছে। সুহের গোলে ফিরলে মোহনবাগানের সমর্থকরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন।
কাশ্মীরের বিরুদ্ধে বেশ ভালই খেলেছেন বাবা দিওয়ারা। পরের অ্যারোজ ম্যাচেও বাগান সদস্য–সমর্থকদের নজর থাকবে বাবার দিকে। ভিকুনা বলেছেন, বাবার কিছুটা সময় দরকার ফিট হতে। ডার্বির আগে সেই সময়টা পেয়ে যাবেন বাবা। তাহলে কি ডার্বিতে বাবা–ম্যাজিক? তারই অপেক্ষায় মোহনবাগান সমর্থকরা।
রিয়েল কাশ্মীরের বিরুদ্ধে গোল করে বেইতিয়া আঙুল দিয়ে প্রাক্তন সতীর্থ কলিনাসের জার্সি নম্বর দেখিয়ে সেলিব্রেশন করেন। এবং কাশ্মীরের গোল কলিনাসকে উৎসর্গ করেন বেইতিয়া। বাগান ফুটবলাররা কলিনাসকে প্রচণ্ড মিস করেন। অপর গোলদাতা নংদম্বা নাওরেম ‘লাভ সাইন’ দেখিয়ে গোলের উৎসব সারেন। তিনিও কি কলিনাসের জন্য গোল উৎসর্গ করেন? সোমবার সন্ধেয় কলকাতায় পৌঁছে ফোনে নাওরেম বলেন, ‘না, না আমার সেলিব্রেশন কলিনাসের জন্য নয়। তবে, কলিনাসকে আমরা প্রচণ্ড মিস করি।’