গত রবিবার রাতে এফএ কাপে এভার্টনের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল য়ুর্গেন ক্লপের লিভারপুল। যেই ম্যাচে প্রথম দলের ন’জন ফুটবলারকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন ক্লপ। যদিও এভার্টনের নতুন ম্যানেজার কার্লো আনচেলোত্তি কোনও ঝুঁকি নেননি। ১৯৯৯ সালের পর থেকে অ্যানফিল্ডে কখনও লিভারপুলের বিরুদ্ধে জেতেনি ওয়েন রুনির প্রাক্তন ক্লাব। এই কারণেই প্রথম একাদশে মাত্র দু’টি পরিবর্তন করেছিলেন আনচেলোত্তি। তা সত্ত্বেও জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল এভার্টনের।
প্রথমার্ধ গোলশূন্য ভাবে শেষ হওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন লিভারপুল সমর্থকেরা। তবে ৭১ মিনিটে ডান পায়ের বাঁক খাওয়ানো শটে গোল করেন লিভারপুলের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় কার্টিস জোন্স। সেই সঙ্গে গড়লেন নতুন কীর্তিও। ইংল্যান্ড ফুটবলে লিভারপুল বনাম এভার্টন দ্বৈরথ বিখ্যাত মার্সিসাইড ডার্বি নামে। এই মর্যাদার লড়াইয়ে লিভারপুলের সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হিসেবে রবি ফাউলারের পরেই এখন নাম থাকবে জোন্সের।
আঠারো বছরের আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডারের উত্থান লিভারপুলের অ্যাকাডেমি থেকেই। ২০১০ সালে অনূর্ধ্ব-৯ দলে ফুটবল শুরু তাঁর। অনূর্ধ্ব-১৯ ও ২৩ দলের হয়ে ২১টি ম্যাচে সাত গোল করে নজর কাড়েন জোন্স। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি করে লিভারপুল। যদিও প্রথম দলে খেলার সুযোগ খুব একটা পাননি জোন্স। এভার্টনের বিরুদ্ধে বিস্ময় গোলের পরে কি ছবিটা বদলাবে?
ক্লপ অবশ্য বিস্মিত নন জোন্সের পারফরম্যান্সে। তিনি বলেছেন, ‘জোন্স অসাধারণ ফুটবলার। দারুণ আত্মবিশ্বাসী। প্রথম দলে খেলার জন্য ছটফট করছে। এখনও অবধি ঠিক দিশাতেই ও এগোচ্ছে।’ এখানেই না থেমে তিনি যোগ করেছেন, ‘আমি অন্তত ওর গোল দেখে বিস্মিত নই। জোন্সের বয়স মাত্র আঠারো। ওকে এখনও অনেক কিছু শিখতে হবে, উন্নতি করতে হবে।’