জেএনইউতে হামলার ঘটনা নিয়ে গতকাল রাতেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে টুইটে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এদিন ফের একবার গঙ্গাসাগর থেকে কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন তিনি। যা থেকে রীতিমতো পরিষ্কার, ক্যাম্পাসে আক্রমণের ঘটনায় এখনও ক্ষোভে ফুঁসছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন গঙ্গাসাগর থেকে তিনি স্পষ্টতই জানিয়ে দেন যে, ‘আমরা ছাত্রদের সঙ্গে আছি। পড়ুয়াদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। একসুরে কথা বলতে হবে পড়ুয়াদের।’
দীনেশ ত্রিবেদীর নেতৃত্বে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল দিল্লী যায়। দীনেশ ছাড়াও ওই দলে ছিলেন সাজদা আহমেদ, শান্তনু সেন, মানস ভুঁইঞা এবং বিবেক গুপ্তা। তবে দীনেশ ত্রিবেদী-সহ সাংসদ মানস ভুঁইঞা, শান্তনু সেন, বিবেক গুপ্তা, সাজদা আহমেদকে জেএনইউয়ের ১ নম্বর গেটের সামনেই আটকে দেয় দিল্লি পুলিশ। বাধা পেয়ে জেএনইউয়ের গেটের সামনেই ধর্ণায় বসেন তৃণমূল নেতারা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরে সফররত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়ে জানান, ‘শুনেছি ওদের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এটা দিল্লী পুলিশের বিষয়। ওদের নিয়ম, ওরা বুঝবে। তবে আমরা পড়ুয়াদের সঙ্গে রয়েছি। ওদের প্রতি সহমর্মিতা জানাতেই প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছিল।’
শুধু তাই নয়, এদিন তিনি স্পষ্টতই অভিযোগ করেন, ‘গতকাল জেএনইউতে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। একটা দল ক্ষমতায় এসে সব নষ্ট করে দিচ্ছে।’ তাঁর প্রশ্ন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে বহিরাগতরা ঢুকল? মতপ্রকাশের অধিকার এখন বিপদের মুখে। এভাবে চললে দেশ কী করে এগোবে? এর দায় কেন্দ্রকে নিতেই হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকার যা ইচ্ছে তাই করছে। ক্ষমতায় এলেও সরকারকে সবকিছুই সংবিধান মেনে করতে হয়। আর এরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে নষ্ট করছে। এটা সার্জিক্যাল ফ্যাসিস্ট স্ট্রাইক। যাদবপুরের পরিবেশকেও ধ্বংস করতে চেয়েছে ওরা। কেউ বিরোধিতা করলেই পাকিস্তানি তকমা দেওয়া হচ্ছে।’