দুরন্ত ফর্মে থাকা মার্নাস লাবুশানের সেঞ্চুরির সাহায্যে সিডনিতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টে প্রথম দিনই ভাল জায়গায় অস্ট্রেলিয়া। গত পাঁচ টেস্টে এই নিয়ে চতুর্থ সেঞ্চুরি লাবুশানের। দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়া ২৮৩-৩। ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকতার জন্য স্মিথের সঙ্গে তাঁর তুলনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ঘটনা হল, যদি তিনি শনিবারও অপরাজিত থাকেন তা হলে আর পাঁচ রান করলেই স্মিথের টেস্ট গড় ৬২.৮৪ টপকে যাবেন। আর যদি ৬৮ রান করে আউট হন, তা হলেও টেস্ট গড়ে পিছিয়ে দেবেন স্মিথকে। অবশ্য স্মিথের এই গড় ১৩১ ইনিংসে। লাবুশানে খেলছেন ১৪ টেস্টে তাঁর ২২তম টেস্ট ইনিংস।
লাবুশানে অবশ্য স্মিথের সঙ্গে তুলনায় যেতে নারাজ, ‘‘স্মিথের সঙ্গে আমার কোনও তুলনা হতে পারে বলে মনে করি না। দীর্ঘদিন ধরে স্মিথ খেলে আসছে। ওর ধারাবাহিকতা অনবদ্য। ওর মতো ব্যাটিং করে যাওয়ার স্বপ্ন আমিও দেখি। এক মরসুমে এক জনের ব্যাটিংয়ের সঙ্গে আট বছর ধরে ধারাবাহিকতা ধরে রাখা ব্যাটসম্যানের তুলনা করা যায় না।’’
এদিন প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। ওপেনার জো বার্নস ১৮ রানে আউট হলেও ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে লাবুশানে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ওঠেন। অল্পের জন্য হাফ-সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন ওয়ার্নার। ৪৫ রানে তিনি আউট হন ওয়াগনারের বলে। তৃতীয় উইকেটে স্টিভ স্মিথকে সঙ্গে নিয়ে লাবুশানে তোলেন ১৫৬ রান। যার ফলে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে জাঁকিয়ে বসার সুযোগ পেয়ে যায়।
তবে লাবুশানের সেঞ্চুরির থেকেও দর্শকদের চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছিলেন স্টিভ স্মিথের মন্থর ব্যাটিং। প্রথম রান করতে তিনি ৩৯টি বল খেলেন। ৪৩ মিনিটের যন্ত্রণাকর ব্যাটিং দেখতে দেখতে একটা সময় বিরক্ত হয়ে ওঠেন দর্শকরা। তাই স্টিভ স্মিথ প্রথম রান নেওয়ার পর দর্শকরা উঠে দাঁড়িয়ে এমনভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন যা দেখে মনে হবে, তিনি শতরান পূর্ণ করলেন। স্মিথ স্বকীয় ভঙ্গিতে অভিনন্দন গ্রহণ করতে ভোলেননি।