বাংলায় বুলবুল আছড়ে পড়ার পরেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ছুটে গেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আশ্বাস দিয়েছিলেন পাশে থাকার। সেই কথা রেখেছেন তিনি। এই মুহূর্তে রাজ্যের তরফে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ চলছে। গত ২৮ নভেম্বর থেকে ক্যাম্প তৈরি করে কৃষকদের আবেদনপত্র গ্রহণ করার কাজ শুরু হয়েছিল। শুক্রবার যেমন আরামবাগ রবীন্দ্রভবনে বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা আবেদনপত্র জমা দিলেন। আবেদনপত্র জমা দিতে আসা কৃষকদের মুখে একটাই কথা শোনা গিয়েছে, ‘প্রকৃতি বিরূপ হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও গরিব চাষিদের পাশ থেকে সরে থাকবেন না।’
গতকাল আরামবাগ ব্লকের মাধবপুর, মায়াপুর-২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত-সহ কয়েকটি অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ক্ষতিপূরণের আবেদন করেন। আরামবাগ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে শামিয়ানা খাটিয়ে আবেদনপত্র গ্রহণ ও জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। একে একে সকল চাষিরা রবীন্দ্রভবনে এসে আবেদনপত্র পূরণ করে তা জমা দেন। আরামবাগের পাণ্ডুগ্রাম থেকে আবেদনপত্র জমা দিতে আসা অশেষ রানা বলেন, ‘বুলবুল আমাদের ধান কেড়ে নিয়েছে। তবে রাজ্য সরকার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাকৃতিক দুর্যোগও আটকাতে পারবে না।’
আবার মায়াপুরের হামিদবাটি থেকে এসেছিলেন কঙ্কণা রায়। তিনি বলেন, ‘আগেও বহুবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে চাষের ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু কোনও সরকারই এভাবে আর্থিক ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেনি। বরুণদেব বিরূপ হতে পারেন, প্রকৃতি বিরূপ হতে পারে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও গরিব কৃষকদের পাশ থেকে সরে যাননি। তাই তিনি ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেছেন। এজন্য ওঁকে ধন্যবাদ। আমাদের ভীষণ ভাল লাগছে।’