ভিতরে আটকে একাধিক পুণ্যার্থী। বাইরে চলছে শিখ-বিরোধী স্লোগান এবং তার সঙ্গে সঙ্গে ছোড়া হচ্ছে ইট। শুক্রবার ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে পাকিস্তানের নানকানা সাহিব গুরুদ্বারের এই ভিডিয়ো। এক শিখ তরুণী এবং মুসলিম তরুণের বিয়ে ঘিরে এভাবেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পাকিস্তানের এই গুরুদ্বার। নানকানা সাহিব গুরুদ্বারের ভিতরে আটকে পড়া পুণ্যার্থীদের উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন অকালি নেতারা। গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ‘ব্যবস্থা নিতে’ আর্জি জানিয়েছেন। এবার এই ইস্যুতে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার দুপুরে ওই টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘পাকিস্তানের নানকানা সাহিব গুরুদ্বারে হামলার ঘটনার নিন্দা করছি আমরা। এটা কখনই মেনে নেওয়া যায় না। মানবতাই সবার ঊর্ধ্বে।’
মহম্মদ হাসান এবং জগজিৎ কাউর – যে তরুণ-তরুণীর বিয়ে ঘিরে এই বিবাদ, তাঁরা দু’জনেই এলাকার বাসিন্দা। মেয়েটির পরিবার নানকানা সাহিব গুরুদ্বারের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের অভিযোগ, জগজিৎ-কে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছেন হাসান। জোর করে ধর্মান্তর করিয়ে বিয়ে করেছে। উল্টোদিকে হাসানের পরিবারের দাবি, জগজিৎ স্বেচ্ছায় বিয়ে করে চলে এসেছেন। স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন তিনি। বিবাদ তুঙ্গে ওঠে যখন মেয়েকে ফেরত চায় শিখ পরিবার। অভিযোগ, জগজিৎ-কে ফেরাতে রাজি না হওয়ায় হাসানকে বেধড়ক মারধর করে মেয়েটির পরিবার। খবর ছড়িয়ে পড়ার পর পাল্টা নানকানা সাহিব ঘিরে ফেলেন স্থানীয় মুসলিমরা। ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সামনে থেকে এই ভিড়কে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হাসানের দাদা। এলাকা থেকে সমস্ত শিখকে বের করে দেওয়ার হুমকিও দিতে শোনা যায় তাঁদের। স্থানীয় শিখদের তরফে ফোন করা হয় প্রশাসনকে। পরে পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের আটক করে নিয়ে যায়। কিছু পরে এলাকায় সেনাও নামানো হয়।
এই ঘটনার জেরে ভারতে প্রবল প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লীও। তবে এখনও পর্যন্ত ইমরান খানের তরফে এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।