লোকসভা ভোটের পরে বাংলা জুড়ে হিড়িক উঠেছিল গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর। বাংলায় কিছুটা আসন বাড়তেই বিভিন্ন দলের নেতা মন্ত্রীরা নাম লিখিয়েছিলেন বিজেপিতে। কিন্তু কয়েকদিন যেতেই বদলে গেছিল চিত্রটা। কেন্দ্রের বিভিন্ন জনবিরোধী পদক্ষেপ, এনআরসি, ৩৭০ ধারার অবলুপ্তিকরণ, উপনির্বাচনে হার, মণ্ডল সভাপতি গঠন ঘিরে দলীয় কোন্দল ইত্যাদি একাধিক ইস্যুতে বিজেপির ওপরে বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন দল বদলানো রাজনৈতিক কর্মীরা। সকলেই বুঝতে পারছেন মানুষের জন্যে কাজ করার একমাত্র জায়গা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল। তাই সকলেই ফিরছেন মমতার ছত্রছায়ায়। এবার গোয়ালতোড়েও বিজেপি শিবিরে ভাঙন।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন গোয়ালতোড়ের হুমগড় এলাকার বিজেপির উত্তর মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক রামু মাহার, এলাকার যুব মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি সন্তু হাজরা , সংখ্যালঘু মোর্চার কয়েক জন নেতা সহ অন্যান্যরা । এলাকার বিধায়ক আশিস চক্রবর্তী ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অজিত মাইতির উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন তাঁরা।
অজিত মাইতি দাবি করেছেন, বিজেপির আরও অনেকেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে ইচ্ছে প্রকাশ করে দলের নেতাদের কাছে জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, কিছু মানুষ বিজেপির দিকে গিয়েছিলেন। এখন তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন ও বিজেপির আসল স্বরূপ জেনে গিয়েছেন। তাই এবার তারা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের যজ্ঞে সামিল হতে আসছেন । খুব তাড়াতাড়ি বিজেপি থেকে আরও অনেকেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন ।
যাঁরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন তারা বলছেন যে তারা এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ করে ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে যজ্ঞে সামিল হতে বিজেপি ছাড়লেন।