যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশ যেমন থাকছে। তেমনি থাকছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গড় গুজরাতও। কিন্তু সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডে ফের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার বাংলা। রাষ্ট্রসঙ্ঘ বিশেষ সম্মান জানালেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় প্রকল্প ‘কন্যাশ্রী’ থিমের ট্যাবলো বাদ দিয়ে দিয়েছে মোদী সরকার। আর এই প্রসঙ্গেই শিবসেনা-এনসিপি তোপ দাগল কেন্দ্রের মোদী সরকারকে।
বুধবারই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবিত ট্যাবলো বাতিল করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এবার এই ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়াল মহারাষ্ট্রের দুই জোট শরিক শিবসেনা এবং এনসিপি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্যই মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো বাদ দিয়েছে মোদী সরকার বলে তোপ দেগেছেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত।
ট্যাবলো বাতিল নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেছে মহারাষ্ট্রের এনসিপি। পরিকল্পনা করেই দুই রাজ্যের ট্যাবলো মোদী সরকার বাতিল করেছে বলে তোপ দেগেছেন শরদ পাওয়ার কন্যা সুপ্রিয়া সুলে। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘এটা সারা দেশের উৎসব। সমস্ত রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব থাকা উচিত। কিন্তু, সরকার পক্ষপাতদুষ্টভাবে কাজ করছে। অবিজেপি রাজ্যগুলির প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে সরকার।’
তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলোই নয়, মহারাষ্ট্রের ট্যাবলোও বাতিল করে দিয়েছে কেন্দ্র। যদিও, বিভিন্ন রাজ্য থেকে জমা পড়া ৫৬টি ট্যাবলো প্রস্তাবের মধ্যে ২২টিকে চূড়ান্ত করেছে মন্ত্রক। যার মধ্যে ১৬টি বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসতি অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করবে। এদিকে, সাধারণতন্ত্র দিবসে দুই অবিজেপি রাজ্যের ট্যাবলো বাতিল করার মধ্যে প্রতিহিংসার রাজনীতিই দেখছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের শাসকদলগুলি। ট্যাবলো বাতিলকে ‘অপমান’ আখ্যা দিয়েছে মহারাষ্ট্রের মহাবিকাশ আগাড়ি সরকারের শরিক শিবসেনা ও এনসিপি।
শুধু এনসিপি নয়,বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধবকে তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। তিনি বলেছেন, ‘এটা কখনও হয় না যে মহারাষ্ট্রের ট্যাবলো সাধারণতন্ত্রের প্যারেডে স্থান পায় না। বেশিরভাগ সময়ই আমরা পুরস্কার পেয়েছি। এবার কী এমন ঘটল যে মহারাষ্ট্র ও পশ্চিবঙ্গের ট্যবলো এবার স্থান পেল না। দুই রাজ্যেই অবিজেপি সরকার। এটাই কি কারণ?’ ট্যাবলো বাতিলকে বড় ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তার কারণ অনুসন্ধানেরও আর্জি জানিয়েছেন শিবসেনা সাংসদ।