হাতে আর বেশিদিন বাকি নেই। বিধানসভা নির্বাচনের ঘন্টা বেজে গিয়েছে রাজধানীতে। কিন্তু এখনও অথৈ জলে পড়ে দিল্লী বিজেপি। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দলের তরফে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিকল্প কে? এই উত্তর খুঁজতে গিয়েই এখন হিমশিম খেতে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। যার ফলে বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রচার যখন তুঙ্গে, তখন বিজেপি শিবির চিন্তায় পড়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নিয়ে! দিল্লী বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা প্রকাশ জাভড়েকর জানিয়েছেন, দল বিষয়টি নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।
প্রসঙ্গত, দলের একটি অংশ মনে করছিল, কোনও মুখ্যমন্ত্রী মুখ ছাড়াই লড়াই করলে ভাল ফল হতে পারে বিজেপির। কিন্তু, শীর্ষ নেতৃত্বের ধারণা, মুখ্যমন্ত্রীর চেহারা ছাড়া নির্বাচনে লড়লে আপের সুবিধা হয়ে যাবে। আপ প্রচার করবে কেজরিওয়ালের বিকল্প নেই। কিন্তু, যে দল ২১ বছর দিল্লীর ক্ষমতার বাইরে, তাদের পক্ষে একজনকে নেতা বেছে নেওয়া সহজ নয়।
শেষবার যখন দল ক্ষমতায় ছিল তখন পাঁচ বছরে তিনজনকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল। প্রথমে ছিলেন মদনলাল খুরানা, তারপর সাহিব সিং বর্মা এবং সবশেষে সুষমা স্বরাজ। তিনজনের কেউই বেঁচে নেই। পরে ২০০৮ সালে নির্বাচনে বিজেপি–র মুখ ছিলেন বিজয়কুমার মালহোত্র, ২০১৩ সালে বিজয় গোয়েল এবং ২০১৫ সালে কিরণ বেদি। এঁদের কেউই বিজেপিকে জেতাতে পারেননি। মালহোত্রর বয়স এখন ৮৮। হর্ষ বর্ধন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং কিরণ বেদি পুদুচেরির উপরাজ্যপাল। কাজেই বিজেপিকে খুঁজতে হচ্ছে নতুন মুখ।
সূত্রের খবর, বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে প্রদেশ সভাপতি মনোজ তিওয়ারি, সাংসদ প্রবেশ বর্মা, ও সাংসদ বিজয় গোয়েলের নাম উঠেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকেও পছন্দ অনেকের। তবে মূল লড়াইটা সম্ভবত মনোজ তিওয়ারি ও প্রবেশ বর্মার। সেক্ষেত্রে আদতে বিহারের বাসিন্দা মনোজ তিওয়ারির চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন প্রবেশ বর্মা। মনোজ তিওয়ারিকে সামনে রাখলে বিরোধীরা ‘বহিরাগত’ বলার সুযোগ পাবে। পশ্চিম দিল্লীর সাংসদ প্রবেশ বর্মা বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ। অতীতের মুখ্যমন্ত্রী সাহিব সিং বর্মার ছেলে তিনি। তাঁর সম্ভাবনাই বেশি। তবে সবমিলিয়ে রাজধানীতে যে এই মুহূর্তে কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থা বিজেপির, তা বলাই বাহুল্য।