শিবসেনা মুখপত্রে উঠে এল কাশ্মীর পরিস্থিতির কথা। ‘সরকার কি আমাদের কাশ্মীরের ব্যাপারে ধোঁয়াশায় রেখেছে?’ মূলত এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে শিবসেনার মনে। একদিকে দেশের মানুষকে বলা হচ্ছে, কাশ্মীরে সেনা মোতায়েন করা আছে। জঙ্গী প্রবেশের সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে প্রতি সপ্তাহে তেরঙ্গা কাপড়ে মোড়া সেনা দেহ তাঁদের গ্রামের বাড়ির চৌকাঠে পাঠানো হচ্ছে। ‘সামনা’ পত্রিকার প্রশ্নটা এখানেই। কীভাবে সম্ভব? তাহলে কি সীমান্ত এখনও সুরক্ষিত নয়? থাকলে নতুন বছরটা এত ভয়াবহ কাটত না সেনাদের।
সন্দীপ সাওয়ান্ত, ২২ বছরের মারাঠি জওয়ান। নতুন বছরের শুরুতেই বেঘোরে প্রাণ হারালেন সন্দীপ-সহ আরেক জওয়ান। জঙ্গী ও সেনার সংঘর্ষে এভাবেই দেশের যুবকেরা গুলি খাচ্ছে। কিন্তু তাতে লাভ কী হচ্ছে? কোথায় এর শেষ? কেন এত সেনা মোতায়েন করা সত্ত্বেও সেনা গোলাগুলির আওয়াজ বন্ধ হচ্ছে না? সত্যিটা কী? মারাঠি সেনাদের মৃত্যুর জন্য মহাবিকাশ আখাড়ি জোটের তো কোনও দোষ নেই। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পরে পরিস্থিতি নিরাপদ হওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের মতে, কিন্তু জঙ্গী প্রবেশ কমছে না। বালাকোটের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সিদ্ধান্তেও আমাদের ভরসা করা উচিত। করেওছিলাম তাই। তারপরেও সেই অঞ্চলেই জঙ্গী হামলা হয়েছে। এছাড়াও সামনায় আরও প্রশ্ন উঠল, ইন্দো–চীন সীমানার প্রসঙ্গ নিয়ে। নতুন সেনা প্রধান মুকুন্দ নারাভানে এই সীমান্ত নিয়ে যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা প্রয়োজন। কিন্তু একইসঙ্গে পাকিস্তানের সীমান্তের দিকে কড়া নজর রাখা দরকার। নতুন বছরে কাশ্মীরে যে বন্দুকের আওয়াজ চলছে, তা যেন সরকারের কাছে আনন্দ উল্লাস।
শিবসেনা মুখপত্রে প্রয়োজনীয় বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে এলেও, এল না কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের কথা। পথে ঘাটে যেভাবে রক্তের বন্যা বইছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের কোনও অবকাশ কেন পেলেন না মারাঠি মুখ্যমন্ত্রী?