মোদীর সিএএর বিরোধিতায় উত্তাল গোটা দেশ। সিএএর বিরোধিতায় গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে শাহিনবাগের শাহিন স্কোয়্যারের একটি বাস স্ট্যান্ডে প্রতিবাদে বসেছেন স্থানীয় মহিলারা। অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে পথ। কনকনে ঠান্ডার পরোয়া না করে পথে নামছেন মানুষ। দিল্লীর এই ঠান্ডা উপেক্ষা করেই সেখানে হাজির শাহিনবাগের ‘দাদি’রাও। বয়স কারও সত্তর কারোর আবার আশির কোঠায়।
রিপোর্ট বলছে গত ১১৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা পড়েছে। সেই ঠান্ডা উপেক্ষা করে মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। এই আন্দোলনের মুখ ৯০ বছরের আসমা খাতুন, অশীতিপর বিলকিস এবং সত্তরোর্ধ্ব শর্বরীরা। বাড়িতে বসে না থেকে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন এই প্রৌঢ়ারা। প্রশাসনের তরফে যতই বাধা আসুক, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে ‘দাদি’স অফ দিল্লি’স শাহিনবাগ’-এর উদ্যত কণ্ঠ থামছে না।
‘দিল্লী কি সর্দি’ শুনলেই সাধারণত হাড় কাঁপানো এক ঠান্ডার কথা মনে হয়। সেই কড়া শীতকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই সিএএ’র বিরোধিতায় নেমে পড়েছেন শাহিনবাগের ‘দাদি’রা। তাদের মত, “খোলা আকাশের নিচে আমাদের ঠান্ডা লাগে না। আমাদের সঙ্গে সকলের সমর্থন রয়েছে। আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বলে যেতে চাই যে, ওদের অধিকারের জন্য আমরা লড়াই করেছি।’’
আসমার কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রী চান, নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে আমি নথিপত্র দেখাই? দেশে বহু মানুষ আছেন, যাদের কাছে কাগজপত্র নেই। অনেকেই বৃষ্টি-বন্যা, আরও কতরকম প্রাকৃতিক দুর্যোগে নথিপত্র হারিয়ে ফেলেছেন। তাঁরা এখন কোথা থেকে সেসব ফিরে পাবেন? আমি প্রধানমন্ত্রীকেই চ্যালেঞ্জ করছি। প্রধানমন্ত্রী ওঁর পরিবারের সাত প্রজন্মের নাম বলুন। প্রধানমন্ত্রী পারলে আমিও আমার পরিবারের ন’জনের নাম বলে দেব।’’
অন্যদিকে বিলকিসের মন্তব্য, ‘‘আন্দোলনকারীদের দিকে তাকিয়ে দেখুন। শুধু যে মুসলিমরা প্রতিবাদ করছেন, তা তো নয়। দেখুন, আন্দোলনকারীদের যারা রোজ খাবার দিচ্ছেন, তার মধ্যে সব ধর্মের মানুষজনই আছেন। কেউ আমাদের কলা দিচ্ছেন, কেউ ফলের রস আর বিস্কুট খাওয়াচ্ছেন। ধর্ম দিয়ে কি করে মানুষকে আলাদা করছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী আগে জানাতে বলুন”।