বিরোধীদের বরাবরের অভিযোগ, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে বিজেপি। ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় তারা। এতদিন বিজেপির নেতানেত্রীরা বিরোধীদের অভিযোগকে কার্যত অস্বীকার করে গিয়েছেন। তবে এদিন প্রকাশ্যে সেকথাই স্বীকার করে নিলেন বিজেপির কার্যনির্বাহী সভাপতি জেপি নাড্ডা। এদিন তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, ধর্ম ছাড়া রাজনীতি হয় না। শুক্রবার একটি সভায় গিয়ে জেপি নাড্ডা বলেন, ‘এই প্রশ্ন বারবার ওঠে, ধর্ম এবং রাজনীতির মধ্যে যোগ কোথায়? আমি মনে করি, ধর্ম ছাড়া রাজনীতি সম্ভব নয়। ধর্ম ছাড়া রাজনীতির কোনও অর্থই নেই। ধর্ম এবং রাজনীতি পাশাপাশিই বিরাজ করে। ধর্ম মানে কী করতে হবে আর কী করতে হবে না। আর সেই কারণেই রাজনীতিতে ধর্মের প্রয়োজন আছে।’
ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দেশে ধর্মীয় রাজনীতি করারই ইঙ্গিত দিচ্ছেন বিজেপির কার্যনির্বাহী সভাপতি। সম্প্রতি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় গর্জে উঠেছে গোটা দেশ। সিএএ, এনআরসি ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ, দেশে বিভাজনের রাজনীতি করছে মোদি সরকার। হিন্দু–মুসলমানের মধ্যে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করছে। সমাজে বিদ্বেষ তৈরি করছে। এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার কথা বলছেন জেপি নাড্ডা। যা একেবারেই ভাল চোখেই দেখছে না রাজনৈতিক মহল।